Posts

সততার পথে সফলতার আলোকবর্তিকা

Image
  সততার পথে সফলতার আলোকবর্তিকা রিয়াজ ছোট্ট একটি গ্রামে বড় হয়েছিল। তার পরিবার গরিব হলেও রিয়াজের স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার মতো। সে সবসময় তার মায়ের কথা মনে করত, সন্তান, সৎ পথে চললে কখনো হেরে যেতে হয় না। স্কুলে রিয়াজ খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যা ও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া ছিল কঠিন ব্যাপার। অনেকেই তাকে বলেছিল, তুই তো গরিব, বড় হওয়া কঠিন। কিন্তু রিয়াজ তাদের কথা শুনেনি। একদিন রিয়াজ গ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি কাজের সুযোগ পেয়েছিল। কাজটা ছিল খুবই সাধারণ – দোকানের মালামাল সাজানো এবং হিসাব রাখা। কিন্তু রিয়াজ সেখানে নিজের সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে। কিছু মাসের মধ্যেই ব্যবসায়ী বুঝতে পারল, রিয়াজ কতটা দায়িত্ববান ও সৎ ছেলে। তিনি রিয়াজকে নিজের ব্যবসায়ের বড় দায়িত্ব দিলেন। রিয়াজ একঘেয়ে কাজ নয়, নতুন নতুন ব্যবসায়িক কৌশল শিখতে শুরু করল। দিন যাচ্ছে, বছর কেটে যাচ্ছে। রিয়াজ নিজের পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম ও সততার ফলে ধীরে ধীরে ব্যবসাটি সফল হতে থাকল। তার সৎ মনোভাব ও পরিশ্রম গ্রামের সকলের কাছে এক নতুন উদাহরণ হয়ে উঠল। একদিন সেই ব্যবসায়ী ব...

গল্পের নাম শেষ চিঠি

  গল্পের নাম: শেষ চিঠি ধাপ ১: ছোট্ট গ্রামের ছেলে রাফি রাফি ছিল এক পাহাড়ি গ্রামের শান্ত ও পরিশ্রমী ছেলে। তার বাবা ছিলেন একজন কাঠুরে, মা গৃহিণী। গরিব হলেও রাফি কখনও হতাশ হতো না। গ্রামের স্কুলে সে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ত, বিশেষ করে ইংরেজি ও গণিতে ছিল বেশ ভালো। কিন্তু শহরের ছেলেদের মতো সুযোগ তার ছিল না। তবুও সে স্বপ্ন দেখত—একদিন সে বড় অফিসার হবে এবং মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে। ধাপ ২: হঠাৎ ঝড়ের মতো দুর্যোগ একদিন হঠাৎ রাফির বাবা কাজ করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা লাগবে। বাড়ির আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় রাফির। সে শুরু করে চা বিক্রি। স্কুলের বন্ধুদের বই ধার নিয়ে রাতে আলো-ছায়ায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে। মা তাকে থামাতে চায়, কিন্তু সে শুধু বলে, “মা, আমি হারবো না।” ধাপ ৩: বোর্ড পরীক্ষার সাফল্য চা বিক্রির মাঝেও রাফি নিজের প্রস্তুতি চালিয়ে যায়। সবাই বলে, “চা বিক্রেতা কি আর পরীক্ষায় ভালো করতে পারে?” কিন্তু রাফি প্রমাণ করে দেয়—চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়। সে বোর্ড পরীক্ষায় পুরো জেলার মধ্যে প্রথম হয়! খবর ছড়...

Success story

  ধাপ ১: মাটির ঘরের ছেলে (প্রায় ৯০০ শব্দ) সেদিন ছিল বর্ষার শুরু। আকাশ যেন হঠাৎ হঠাৎ রেগে উঠছে, আর হরিদাস বসে আছে বৃষ্টির ফোঁটার নিচে কাঁদা মাটির দরজায়। তার বয়স তখন মাত্র ১১। বাবা একজন দিনমজুর—যিনি প্রতিদিন নতুন কাজ খোঁজেন, আর মা বাসায় ধোপার কাজ করেন। সংসারে অভাব লেগেই আছে। ভাত-ডাল তো কল্পনা, অনেক দিন লবণ-ভাতই আশীর্বাদ হয়ে আসে। হরিদাসের স্কুলে যাওয়ার খুব ইচ্ছা। গ্রামের স্কুলটি মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে, কিন্তু খালি পায়ে হাঁটতে হয়। শরীরে ছেঁড়া পাঞ্জাবি, হাতে পুরোনো খাতা আর ভাঙা একটা পেনসিল—এই তার সম্বল। তবুও সে ক্লাসে সবচেয়ে মনোযোগী। শিক্ষকরা অবাক হয়ে বলে, এই ছেলে একদিন বড় হবে! কিন্তু সেই ‘বড় হওয়া’ যেন তার কপালে নেই। বাবা একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর কাজ বন্ধ। হরিদাসকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়—স্কুল না খেয়ে থাকা? সে ভোরে উঠে বাজারে গিয়ে বস্তা টানে, মানুষের ব্যাগ বহন করে। সন্ধ্যায় স্কুলে যায়। এভাবেই শুরু হয় তার লড়াই। ধাপ ২: কুয়াশায় ঢাকা স্বপ্ন (প্রায় ৯০০ শব্দ) হরিদাস ক্লাস সেভেনে উঠে, কিন্তু তার জীবনে তখনো বিদ্যুৎ নেই। মোমবাতি বা কুপি দিয়ে রাতে পড়াশোনা করে। বন্ধুরা যখন মোবাইলে গেম খেলে, হরি...

Ghost stories: The Spirit of a Smile Lost in Silence

Image
নীরবতায় হারিয়ে যাওয়া হাসির আত্মা  🎃 পর্ব ১: আগমন রাত্রি গভীর, চাঁদ আংশিক। গ্রামের প্রান্তে নীরব নিস্কৃতি হাউস—দীর্ঘনিঃসৃত, ছেঁড়া কাঠের ফ্রেম আর ফেটে-যাওয়া জানালা দিয়ে অবলম্বন। দশ বছর আগে, নববধূ রিমি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এই বাড়ি ছায়াময় আতঙ্কের সহচর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর কুল ঘেঁষে থাকা এই বাড়ি স্থানীয়দের চোখে রহস্যময়, তবে রাতের নিঃশ্বাস যেন তার যান্ত্রিক হাড়চাপা এক ভেসে আসা আওয়াজ। শহর থেকে আগমণ করেন সাগর—স্বপ্নালু ফটোগ্রাফার, যিনি অদৃশ্য নিয়ে কাজ করেন। তাঁর লেন্সের আড়ালে দেখা না যায়, তবে অনুভূত হয় — সে ধরনের অমীমাংসিত উপস্থিতি ক্যাপচার করতে চান। সাগর ওঠেন হাউসের ছাদে, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঘূর্ণায়মান আলো ফেলতেই, না বুঝে ওঠা ছায়াগুলো ঘর ঘর ঢুকে যায়—কেউ না, তবে স্পর্শ অনুভূত হয়। তালাবদ্ধ ফ্রেমে লেখা হয়ে আসে ছায়ায় তুমি… সে রাতে ঘরের বাতাসে যেন কেউ নিশ্বাস ফেলল। সাগর… — এক অচেনা নাম টেনে আনে তার কানে। তিনি দেখেন, গায়ে সাদা পাতলা লুঙ্গি—যেমন নদীর কোল থেকে উঠে গেছে। পাশের ঘরের দেয়াল ফেটে গিয়েছে, ওখান থেকে চামচের মতো এক মুক্তো ছেড়ে দেয়াল থেকে ঝুলছে—যেমন কোনো আত্মার দোলা। সাগর নিজেকে জিজ্ঞ...

Educational stories for kids: The story of Raju’s victory with truth and courage

 ধাপ ১: গ্রামের শান্ত ও সৎ ছেলে গ্রামের একটি ছোট টিনের ঘরে থাকত আরিফ ও তার পরিবার। বাবা একজন কৃষক, মা গৃহিণী। দারিদ্র্য থাকলেও আরিফের পরিবার ছিল সৎ, সরল এবং পরিশ্রমী। আরিফ ছিল দশ বছরের এক বুদ্ধিমান ও ভদ্র ছেলে। প্রতিদিন সকালে স্কুলে যেত, বিকেলে বাবার সঙ্গে ক্ষেত খুঁড়ত, আবার রাতে মায়ের সঙ্গে পড়াশোনা করত। সে ছিল গ্রামের স্কুলের একাধারে মেধাবী ও সকলের প্রিয়। একদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে সে রাস্তার পাশে একটি ছোট লাল রঙের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। কৌতূহল নিয়ে খুলে দেখে ভেতরে মোটা একটি টাকা বান্ডিল। আশেপাশে কেউ ছিল না। অন্য কেউ হলে হয়তো টাকাগুলো নিয়ে ফেলত, কিন্তু আরিফ দ্বিধা না করে ব্যাগটি নিয়ে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের হাতে তুলে দেয়। শিক্ষক অবাক হয়ে ব্যাগটি নেন ও খুলে দেখে বলেন, তুমি জানো কত টাকা আছে এখানে? এক লাখ টাকা! আরিফ মাথা নিচু করে বলে, স্যার, এটা আমার না। কারও হারানো জিনিস আমি রাখতে পারি না। পরদিন স্কুলে সেই টাকার মালিক এলেন—এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী। তিনি খুশি হয়ে আরিফকে এক হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চাইলেন, কিন্তু আরিফ মাথা নাড়ে, না চাচা, আমি কোনও পুরস্কারের জন্য এটা করিনি। শিক...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প: ধানক্ষেতের ছেলে থেকে প্রশাসনের চূড়ায় এক বিসিএস ক্যাডারের সংগ্রামী যাত্রা

  ধাপ ১: ধানক্ষেতে জন্ম, স্বপ্নের বীজ রফিকের জন্ম হয়েছিল এক ছোট্ট গ্রামে, যেখানে শহরের আলো পৌঁছায়নি। তার বাবা হাশেম আলী একজন কৃষক। দিনের শুরু হতো মাঠে কাজ দিয়ে আর শেষ হতো ক্লান্ত শরীরে। রফিক ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে ধানক্ষেতে যেত, গরু চরাতো, মাঝে মাঝে লাঙলও ধরতে হতো। এই কষ্টের ভেতরেও রফিকের মন অন্য কিছু চাইত—জ্ঞান, বইয়ের পাতা আর স্কুলের ঘণ্টাধ্বনি। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল রফিকের জ্ঞানের প্রথম দরজা। যদিও স্কুলে যাওয়া মানেই একজোড়া জুতা মাটি ও কাদায় ভিজে যাওয়া, তবুও সে কখনও অনুপস্থিত থাকত না। স্কুল শেষে সে বাবার সাথে মাঠে কাজ করত এবং রাত জেগে পড়াশোনা চালিয়ে যেত কুপি বাতির আলোয়। গরিব কৃষকের ছেলে হয়েও তার চোখে ছিল এক অদম্য আগুন। সে জানত, এই দারিদ্র্য থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো শিক্ষা। পঞ্চম শ্রেণিতে রফিক উপজেলা পর্যায়ে মেধাবৃত্তি পায়। এই অর্জন তাকে এবং তার পরিবারকে নতুন আশার আলো দেয়। পাড়ার সবাই বলত, এই ছেলেটা বড় কিছু করবে। কিন্তু বাধা ছিল অনেক। হাইস্কুল ছিল তিন কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হতো। অনেক সময় ঝড়-বৃষ্টিতেও সে স্কুলে যেত, কাদায় পা ডুবি...

Incredible Facts: Medieval Scholarship Touched by the Quill Pen

 ধাপ ১: প্রাচীন সভ্যতায় লেখার সূচনা ও আদিম কলমের জন্ম লেখার ইতিহাস প্রায় ৫০০০ বছরের পুরোনো। মানুষের মস্তিষ্কে যখন চিন্তা প্রকাশের ইচ্ছা জন্ম নিল, তখন থেকেই তারা ভাবনাগুলো চিহ্ন ও প্রতীকের মাধ্যমে রূপ দিতে শুরু করে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, মিশর, সিন্ধু ও চীন সভ্যতায় লেখার জন্য কাদামাটির ফলকে খোদাই করা হতো। তারা ব্যবহার করত একধরনের ধারালো কাঠি, যাকে বলে স্টাইলাস । স্টাইলাস দিয়ে তারা কাদায় অক্ষর আকৃতির চিহ্ন এঁকে রাখত, যেটি পরে শুকিয়ে লেখা স্থায়ী হতো। এদিকে প্রাচীন মিশরীয়রা আবিষ্কার করেছিল প্যাপিরাস , যা একধরনের গাছের ছাল থেকে তৈরি হতো। এই কাগজে লেখার জন্য তারা ব্যবহার করত  রিড পেন , যা ছিল বাঁশজাতীয় গাছের কাণ্ড কেটে তৈরি কলম। এতে কালির ব্যবহার শুরু হয়, যা বিভিন্ন গাছের রস, মিনারেল ও কয়লা গুঁড়া থেকে তৈরি হতো। চীনারাও একই সময়ে কলম ও কালি ব্যবহারের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। তারা বাঁশের কলম ব্যবহার করত এবং চাইনিজ ইঙ্ক তৈরি করত চাইনিজ পাইন গাছের রজন থেকে। এই ধাপে লেখার উদ্দেশ্য ছিল বার্তা সংরক্ষণ, রাজাজ্ঞা প্রেরণ, ধর্মীয় রীতি ও প্রশাসনিক কাজ। তবে এগুলো ছিল অপ্রচলিত ও কষ্টসা...