রূপকথার ভূতের গল্প: রুপার রাতের অতিথি
একটি গ্রামে বসবাস করতেন বিধবা রূপা। তিনি ছিলেন নিঃসন্তান ও একা। গ্রামের সবাই তাকে একটু অদ্ভুত বলেই জানত, কারণ তিনি প্রায়ই রাতের বেলা শ্মশানে গিয়ে ধূপ জ্বালাতেন। কেউ কেউ বলত, রূপা নাকি তার মৃত স্বামীর আত্মাকে ডাকেন। এক রাতে, পূর্ণিমার আলোতে গ্রামটি যেন এক অদ্ভুত নীরবতায় ঢেকে গিয়েছিল। সেদিন রূপাকে শ্মশানে যেতে কেউ দেখেনি। তবে গ্রামের এক যুবক, রাহুল, সাহস করে বন্ধুদের সাথে ঠিক করল যে, তারা শ্মশানে গিয়ে দেখবে, রূপা আসলেই সেখানে কী করেন। রাত প্রায় ১২টা। তারা ধীরে ধীরে শ্মশানেরদিকে এগিয়ে যায়। শ্মশানটি ছিল গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে। চারদিকে ঘন গাছপালা, আর তাদের ছায়ায় পথটা যেন আরো ভৌতিক হয়ে উঠেছিল। হঠাৎ, তারা দূর থেকে একটি মৃদু আলোর ঝলকানি দেখতে পেল। তারা দেখে, রূপা সেখানে ধূপ জ্বালিয়ে কিছু বলছে, কিন্তু তার কণ্ঠস্বর যেন অন্য কারও সাথে মিশে যাচ্ছে। তাদের সাহসিকতা মুহূর্তেই ভেঙে পড়ল যখন তারা দেখতে পেল রূপার সামনের ছায়ার মধ্যে একটি বিশাল আকৃতির অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে। অবয়বটি ছিল অস্বাভাবিক লম্বা, মাথায় বড় শিঙ, আর তার চোখগুলো যেন জ্বলজ্বল করছিল। রূপা অবয়বটির সাথে কিছু বলছে, আর অবয়...