Posts

Showing posts with the label গল্প ভান্ডার বিভিন্ন বিষয়ে গল্প সমূহ

Ghost stories: The Spirit of a Smile Lost in Silence

Image
নীরবতায় হারিয়ে যাওয়া হাসির আত্মা  🎃 পর্ব ১: আগমন রাত্রি গভীর, চাঁদ আংশিক। গ্রামের প্রান্তে নীরব নিস্কৃতি হাউস—দীর্ঘনিঃসৃত, ছেঁড়া কাঠের ফ্রেম আর ফেটে-যাওয়া জানালা দিয়ে অবলম্বন। দশ বছর আগে, নববধূ রিমি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এই বাড়ি ছায়াময় আতঙ্কের সহচর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর কুল ঘেঁষে থাকা এই বাড়ি স্থানীয়দের চোখে রহস্যময়, তবে রাতের নিঃশ্বাস যেন তার যান্ত্রিক হাড়চাপা এক ভেসে আসা আওয়াজ। শহর থেকে আগমণ করেন সাগর—স্বপ্নালু ফটোগ্রাফার, যিনি অদৃশ্য নিয়ে কাজ করেন। তাঁর লেন্সের আড়ালে দেখা না যায়, তবে অনুভূত হয় — সে ধরনের অমীমাংসিত উপস্থিতি ক্যাপচার করতে চান। সাগর ওঠেন হাউসের ছাদে, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঘূর্ণায়মান আলো ফেলতেই, না বুঝে ওঠা ছায়াগুলো ঘর ঘর ঢুকে যায়—কেউ না, তবে স্পর্শ অনুভূত হয়। তালাবদ্ধ ফ্রেমে লেখা হয়ে আসে ছায়ায় তুমি… সে রাতে ঘরের বাতাসে যেন কেউ নিশ্বাস ফেলল। সাগর… — এক অচেনা নাম টেনে আনে তার কানে। তিনি দেখেন, গায়ে সাদা পাতলা লুঙ্গি—যেমন নদীর কোল থেকে উঠে গেছে। পাশের ঘরের দেয়াল ফেটে গিয়েছে, ওখান থেকে চামচের মতো এক মুক্তো ছেড়ে দেয়াল থেকে ঝুলছে—যেমন কোনো আত্মার দোলা। সাগর নিজেকে জিজ্ঞ...

Best Romantic Novels: Love Written in Moonlight

Image
 চাঁদের আলোয় লেখা ভালোবাসা পর্ব ১: দেখা রানির চোখে ঢাকার এই কলেজটা ছিল স্বপ্নের মতো। বই আর সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে পা দিয়েই তার মন যেন উড়ে গেল। গেট দিয়ে ঢোকার সময়ই সে প্রথম রুদ্রকে দেখে। ছেলেটি দাঁড়িয়ে ছিল একটা পুরোনো গাছের ছায়ায়। এক হাতে বই, অন্য হাতে কফি। রুদ্রের চোখে ছিল এক ধরনের একাকীত্ব—যেন সে এই পৃথিবীর থেকে কিছুটা দূরে, নিজের ভেতরে ডুবে থাকা কোনো চরিত্র। ক্লাসের প্রথম দিনেই রানি খেয়াল করল, রুদ্র শুধু পড়াশোনায় মন দেয়। বন্ধু বলতে নেই, কথা বলে না বেশি কারো সঙ্গে। এমনকি টিফিনের সময়ও সে একা থাকে, জানালার পাশে বসে আকাশ দেখে। রানির কৌতূহল ক্রমশ বাড়তে থাকল। মেয়েরা তার পাশে বসতে চায় না, ছেলেরাও তাকে ভয় পায়, অথচ রানি অনুভব করল, এই ছেলেটির ভেতর এক অদ্ভুত আকর্ষণ আছে। একদিন লাইব্রেরিতে রানি একটি বই খুঁজছিল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি হাত এসে বইটা তার সামনে বাড়িয়ে দিল—রুদ্র। সে বলল, তুমি নিশ্চয় এইটাই খুঁজছিলে? রানি প্রথমবার তার কণ্ঠ শুনল—নরম, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। রুদ্রের চোখে চোখ রাখতেই রানির বুক কেঁপে উঠল। এই অচেনা অনুভূতির নাম কি ভালোবাসা? সেদিন থেকেই রানি রুদ্রের প্রতি এক অদৃশ্য টান অনুভব ক...

literary story: ছায়া পথের ডাক

  ছায়া পথের ডাক প্রথম পর্ব: জিএসএ তৃষা মহিলা মেয়েটি কখনও স্বপ্ন দেখা না। রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়ুন আর সকালবেলা ঘুম থেকে কোনো অনুভূতি, আজও স্বপ্ন দেখলাম না কেন? সে ছিল এক নিঃসঙ্গ মেয়ে। একজন আর ফ্ল্যাটে সে আমার সাথে থাকে। বাবা তোমার সেই ছোটবেলায়। মা স্কুলশিক্ষা—সারাদিন খুঁজে বেরক্ষের দিকের দিকে শুধুই আরেন, মেয়ের মন খারাপ তার নজর পড়ে না। তৃষার একটাই ভালো লাগার জগৎ ছিল—তার ছাদ । রাত ছাদে দেব সে আকাশ দেখত। প্রতিটা তারা পরামর্শ তার সাথে, তারা তার জন্য ঝলমল করে। কখনো সে হিসেব রাখত, কোন তারা কোন সন্ধান করেছিল। এক রাত, আকাশে একটা অদ্ভুত আলো দেখা গেল। যোগ ঠিক উল্কার মত নয়, আবার তারা থেকেও। সেই আলো একটা ছোট রঙিন বিন্দু হয়ে গেল পশ্চিম আকাশে। তৃষা নীতি। পরদিন সকালের খবরের কাগজে লেখাও ছিল ঢাকায় দেখা গেল অদ্ভুত মহাজাগতিক আলো। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা পড়ুন আর নতুন মোবাইলের বিজ্ঞাপন নিয়ে। আলোটা পৌঁছে গেল। শুধু তৃষা ভুল না। দ্বিতীয় পর্ব: ছায়া পথের চিঠি তিনদিন পর রাত, ছাদে তৃষা আবার তাকাল আকাশে। ঠিক তখনই, একটা দল তার উপর পড়ে। সে চমকে উঠল। পাতাটা স্বচ্ছ! কোনো কোনো কাচের টুকরোতে লে...

Ghost Stories: The Shadow of Darkness

Image
ভূতের গল্প: অন্ধকারের ছায়া প্রথম অধ্যায়: পুরোনো বাড়ির গোপন শহরের বাইরে, একাকী দাঁড়িয়ে আছে পুরোনো একটি বাড়ি। অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস করেনি। সবাই বলে, রাতে ওই বাড়ির জানালা থেকে কাঁপুনি ওঠার মতো ঠান্ডা বাতাস বের হয় আর অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। রিন্টু, স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিল এক রাতে। হঠাৎ তার পায়ের কাছে একটা কিছু গড়িয়ে পড়ল। দেখল একটা ছোট্ট চাবি। আশেপাশে কেউ ছিল না, তাই curiosity-তে সে সেই চাবি নিয়ে সেই পুরোনো বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল। বাড়ির দরজা ছিল অনেকদিন ধরে বন্ধ, কিন্তু সেই চাবি দিয়ে দরজাটা খুলতে পারল সে। দরজা খুলতেই এক অদ্ভুত ঠান্ডা হাওয়া ভেতরে প্রবেশ করল। ভিতর ছিল পুরোনো আসবাবপত্র, ধুলোময়লা বই আর জমে থাকা জমাট ধূলার গন্ধ। রিন্টু ভাবল, এতদিন কেউ এখানে আসেনি কেন? তখনই দূর থেকে একটা নরম ফিসফিস আওয়াজ এলো। সে আতঙ্কিত হয়ে চুপ করে দাঁড়াল। হঠাৎ বাতাসে একটা ছায়াময় অন্ধকার ঢেউ তরঙ্গায়িত হল। রিন্টু বুঝতে পারল, সে কোনো অজানা রহস্যের মুখোমুখি। ভয়ে একটু পিছনে সরতে চাইল, কিন্তু কৌতূহল তাকে থামতে দিল না। সে ধীরে ধীরে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করল, আর ঠিক তখনই দরজাটা জোরে বন্ধ হয...

Love Stories: The Language of Letters, The Words of the Heart

Image
 চিঠির ভাষা, হৃদয়ের কথা পরিচিতি ও প্রথম দেখা: ঢাকার এক পুরনো কলেজের গ্রন্থাগারে এক বিকেল, বইয়ের মাঝে নীরবতা ভাঙলো দুই মনের মাঝে। তাহমিম ছিল চুপচাপ, স্বপ্নময় এক তরুণ, যার চোখে লুকিয়ে ছিল অনেক গল্প। নিপা ছিল হাসিখুশী, প্রাণবন্ত, মেধাবী ছাত্রী, যে সব সময় জীবনকে আলোর চোখে দেখতে চাইতো। গ্রন্থাগারের ছায়ায় প্রথম তাদের চোখের মিলন, সেই মিলন যে থেকে যাবে স্মৃতির পাতায় চিরকাল। তাহমিম প্রথমবার নিপাকে দেখলো যখন সে পেছনের তাক থেকে একটি পুরনো কবিতার বই নামাচ্ছিল। নিপার দৌড়ঝাঁপ আর বেঁচে থাকার স্পন্দন যেন যেন তাকে টেনে আনে। হঠাৎ বইয়ের পাতা খুলতেই নীরবতা ভেঙে যায়, তুমি এই বইটা পড়ছো? নিপা একটু লজ্জায় মাথা নত করে হ্যাঁ বলল। আমার প্রিয় কবিতার বই, তাহমিম একটু হাসলো, আমার খুব ভালো লাগে এই লেখকের ভাষা। তাদের মধ্যে সেদিন বইয়ের মাধ্যমে একটা বন্ধুত্বের সেতু গড়ে উঠলো। তারা জানলো, তারা এক পৃথিবীর বাসিন্দা, যাদের গল্প একসাথে লেখা উচিত। বন্ধুত্বের বিকাশ: দিন যত গেল, তাদের বন্ধুত্ব ততই গভীর হলো। কলেজের ক্লাস শেষে তারা ক্যাম্পাসের খোলা আকাশের নিচে বসে জীবন, স্বপ্ন, পরিবার, জীবনের ভালো-মন্দ সব কথা বলত। নিপার জ...

Best novels: The Call of the Stars

Image
  সেরা উপন্যাস: নক্ষত্রের ডাক প্রথম অধ্যায়: অদৃশ্য সংকেত সাল ২১৪২। পৃথিবী তখন প্রযুক্তির শিখরে পৌঁছে গেছে। মানুষের আবিষ্কার তখন শুধু গ্রহে সীমাবদ্ধ নয়, তারা অন্য নক্ষত্রজগতের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নতির মাঝেও পৃথিবীর কোথাও যেন অজানা এক শূন্যতা, এক অস্থিরতা কাজ করছিল। ঢাকার নিউ অ্যাস্ট্রো রিসার্চ সেন্টারে তখন গভীর রাত। সব গবেষক চলে গেছে, শুধু এক জন আছে — ড. রায়ান হোসেন। তিনি একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যার চোখ সবসময় আকাশের তারা গুনে বেড়ায়। হঠাৎ কম্পিউটারে একটা অদ্ভুত সিগনাল আসে। সিগনালটি ছিল একটা নিখুঁত প্যাটার্নে — যেন কোনো অচেনা বুদ্ধিমান প্রাণী তাদের ভাষায় কিছু বলতে চাচ্ছে। রায়ান চমকে ওঠে। এটা কি এলিয়েনের বার্তা? সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিল না। তিন দিন পর, পুরো গবেষণা কেন্দ্র জেগে ওঠে। বার্তাটি বিশ্লেষণে জানা যায়, সিগনালটি আসছে  Zeta Reticuli  নামক এক তারকামণ্ডলী থেকে — পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯ আলোকবর্ষ দূরে। দ্বিতীয় অধ্যায়: মিশনের ঘোষণা জাতিসংঘ এক জরুরি সভা ডাকে। তারা সিদ্ধান্ত নেয়: একটি গবেষণা মহাকাশযান পাঠানো হবে সেই নক্ষত্রের দিকে। মিশনের নাম দেওয়া হয়...

Ghost Story: The Sound of Darkness

Image
ভূতের গল্প গ্রাম ও রহস্যময় বাড়ি পাশর গ্রামটি ছিল একেবারে নিস্তব্ধ এবং শান্ত। নদী, পাহাড়, গাছপালা—সব কিছু ছিল যেন এক আদর্শ গ্রাম। তবে এর মধ্যেই ছিল একটি রহস্যময় বাড়ি, যা গ্রামের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিল। গ্রামের লোকেরা বলে, এই বাড়ি একসময় ছিল এক ধনী ব্যবসায়ীর, কিন্তু কিছুদিন আগে, সেই ব্যবসায়ী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। তার পরে বাড়িটি শূন্য হয়ে পড়ে এবং গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করেছিল যে, এখানে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। গ্রামের মানুষজনের মধ্যে এক অদ্ভুত ভয়ের  সৃষ্টি হয়েছিল। কেউই দিনের পর দিন ওই বাড়ির কাছে যেতে সাহস পেত না। এমনকি রাতের অন্ধকারে, বাড়ির দিকে তাকাতেও সাহস পেত না কেউ। কেউ বলতো, রাতে এই বাড়ির ভিতর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। কেউ আবার বলতো, যিনি একবার বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিল, সে আর ফিরে আসে না। রাহুলের আগমন গ্রামের ভেতর থেকে একমাত্র ব্যক্তি যে সাহস করে বাড়িটিতে যেতে চেয়েছিল, সে ছিল রাহুল। সে একটি তরুণ যুবক, যার মন ছিল সাহসী এবং কৌতূহলী। ছোটবেলা থেকেই সে রহস্য এবং অজানা বিষয়ে আগ্রহী ছিল। যখন গ্রামবাসীরা তাকে সতর্ক করেছিল, সে সেগুলো শোনেনি। বরং, তার মনে এক প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল—এই...

সাহিত্য গল্প: সময়ের সেতু

Image
 সময়ের সেতু ছোটবেলা থেকে জয়নালের স্বপ্ন ছিল—একটা বইয়ের দোকান। এমন না যে তিনি বইয়ের পোকা ছিলেন, কিন্তু বইয়ের গন্ধ, পাতার শব্দ আর মানুষের মুখে গল্প শোনার ব্যাকুলতা তাঁকে বইয়ের জগতে টেনেছিল। স্কুলের পাশে একটা পুরনো লাইব্রেরি ছিল, নাম—অলিন্দ পাঠাগার। ছাতাটা ছিল টিনের, বর্ষায় ছাতফাটা শব্দে বৃষ্টির নাচ, আর কড়কড়ে রোদে সেই টিন তপ্ত হয়ে উঠত আগুনের মতো। সে লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান ছিলেন এক বৃদ্ধ, সরদার সাহেব। দাঁড়িগোঁফ সাদা, কিন্তু গলার স্বর এতটাই কোমল, যেন বইগুলো তাঁর সন্তান। জয়নাল স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই চলে যেত সেখানে। কোনোদিন চুপচাপ বসে থাকত, কোনোদিন বই না খুলেই তাকিয়ে থাকত মেঝের ছায়ার খেলায়। তখন তার বয়স বারো। জয়নালের বাবা ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। সংসারে টানাটানি, তবে ভালোবাসার ঘাটতি ছিল না। কিন্তু ১৯৯৮ সালের সেই শীতের সকালটা সবকিছু পাল্টে দিয়েছিল। বাবাকে হারানোর পর মা-বেটার সংসারটা যেন হঠাৎ করেই ছোট হয়ে এল। কাঁধে দায়িত্বের ভার চাপল, স্বপ্নটা যেন ধুলোমলিন হয়ে গেল। কিশোর বয়সের সেই বইয়ের দোকান খোলার স্বপ্ন হারিয়ে গেল হাড়ভাঙা খাটুনির ভেতর। সময়ের স্রোত গড়িয়ে গেল। জয়নাল কলেজে ভর্তি হতে পা...

আত্মঅনুসন্ধানের গল্প: নীল জানালার চিঠি

Image
নীল জানালার চিঠি: কলেজের করিডোর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে রুদ্রর মনে হচ্ছিল, চারপাশের সবাই যেন দৌড়াচ্ছে জীবনের দিকে, শুধু সে একাই থেমে আছে কোথাও। প্রতিদিনের ক্লাস, পরীক্ষার তারিখ, নোটিশ বোর্ডের রুটিন – সব কিছুই যেন যান্ত্রিক। অথচ তার দিন কেটে যায় সেই জানালার ধারে দাঁড়িয়ে, যে জানালাটা কলেজ ভবনের পেছনে। জানালাটা বেশ পুরোনো, রঙ প্রায় উঠে গেছে, তবু সেখানে একধরনের শান্তি আছে। জানালার বাইরে এক বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ, বসন্ত এলেই সে গাছ লাল ফুলে জ্বলে ওঠে। রুদ্র ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গল্প-কবিতা পড়ার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই, তবে কলেজে এসে লেখার প্রতি আসক্তি বেড়ে গেছে। বন্ধুদের ভিড়ে সে একটু নিরালায় থাকতে ভালোবাসে, আর সেই নিরালা খুঁজে পায় এই নীল জানালার ধারে। জানালার পাশে একটা টানা বেঞ্চে সে প্রায় প্রতিদিন বসে থাকে, একা। কয়েক মাস আগে, একদিন সেখানে বসে হঠাৎ খেয়াল করল, জানালার সিলে একটা ছোট্ট কাগজ রাখা। কৌতূহলবশত খুলে দেখল সেখানে লেখা— তুমি কি জানো, এই জানালার পাশের কৃষ্ণচূড়াটা কবে প্রথম ফুল ফুটিয়েছিল? আমি জানি। আমি সেদিন এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রুদ্র ভেবেছিল, কেউ হয়তো মজা করে লিখেছে। কিন্...

ভয়ংকর ভূতের গল্প: কালবনের অভিশাপ

Image
 Terrifying Ghost Story ধাপ ১: প্রস্তাবনা রাতের আকাশে চাঁদের আলো ম্লান হয়ে আসছে। গ্রামের মানুষজন ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ছে। এ গ্রামের নাম কালাবন। কালাবনের পাশে এক বিশাল বন রয়েছে, যেখানে কেউ যেতে সাহস পায় না। গ্রামের মানুষেরা বলে, সেই বনে এক অশুভ আত্মা বাস করে, যে সেখানে গেলে আর ফিরে আসে না। অনেকে বলেছে, তারা রাতের বেলায় সেই বনের ভেতর থেকে ভৌতিক আওয়াজ শুনেছে। এসব শুনে গ্রামের সবাই ভয়ে থাকে, বিশেষ করে রাতের বেলায়। ধাপ ২: প্রধান চরিত্র পরিচিতি গল্পের প্রধান চরিত্র মধু, একজন ২৫ বছরের যুবক। মধুর দাদু এই কালাবন গ্রামেই থাকতেন আর ছোটবেলায় মধু মাঝে মাঝে তার কাছে আসতো। তবে দাদুর মৃত্যুর পর মধু বহু বছর গ্রামে আসেনি। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন মধু তার পুরানো স্মৃতি ঝালাই করতে গ্রামে ফিরে আসে। মধু খুব সাহসী। গ্রামের লোকজন যখন তাকে বনের ভুতের গল্প বলে, সে তা হাসিমুখে উড়িয়ে দেয়। মধুর বিশ্বাস, এসব শুধু গ্রামের লোকদের কুসংস্কার। তবে তার বন্ধুরা তাকে বারবার সাবধান করে, যেন সে বনের ধারে না যায়। ধাপ ৩: রহস্যের সূত্রপাত এক সন্ধ্যায়, মধু গ্রামের কাকুতি মিনতি শোনার পরেও বনের দিকে রওনা দেয়। তার মন...