Posts

Showing posts with the label গল্প ভাণ্ডার বিভিন্ন বিষয়ে গল্প সমূহ

Best Literature of Self-Discovery: The White Pages of Nishith

Image
 Self-Discovery in Literature প্রথম পর্ব: অচেনা চিঠি রাতের আধারে মৃদু বাতাসের সোঁ সোঁ শব্দে নিশীথের মন কেমন অস্থির লাগছিল। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, ছোট্ট গ্রামে বেড়ে ওঠা ছেলেটির জীবন কেটে যাচ্ছিলো নিতান্ত সাধারণভাবে। কিন্তু আজ তার মনের ভেতর কিছু একটা ধোঁয়াশার মতো ভাসছিল। বারান্দার রেলিংয়ে হাত রেখে দূরের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে, নিজেকে একটুখানি একা মনে হলো। আচমকা, ডাকপিয়নের হেঁটে আসার শব্দে তার ধ্যানভঙ্গ হলো। সাদা খাম নিয়ে পিয়নটি তার দিকে এগিয়ে এলো, নিশীথ বাবু, আপনার নামে চিঠি এসেছে। চিঠি হাতে নিয়ে নিশীথ চমকে উঠলো। কে চিঠি পাঠাতে পারে? বর্তমান যুগে চিঠির ব্যবহার প্রায় উঠে গেছে। সে ধীরে ধীরে খাম খুলে দেখতে লাগলো। ভেতরে একটা ছোট্ট কাগজে অচেনা হাতের লেখা। সেখানে শুধু লেখা ছিল, তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। নিশীথের হৃদয় দ্রুত স্পন্দিত হতে লাগলো। কারা তাকে খুঁজছে? কেন? দ্বিতীয় পর্ব: রহস্যময় আগমন চিঠির ভাষা সহজ ছিল, কিন্তু তাতে ছিল গভীর কোনো অর্থ। সেই রাত নিশীথ আর ঘুমাতে পারল না। কে পাঠিয়েছে চিঠি? কোথায় অপেক্ষা করছে? বিভিন্ন প্রশ্ন তাকে ঘিরে ধরতে থাকল। পরের দিন ভোরবেলায়, নিশীথ তার বন্ধুর সাথে ব্...

ভূতের গল্প: অভিশপ্ত বাড়ির রক্তচক্ষু

Image
 ভূতের গল্প প্রথম ধাপ: পরিচয় বৃষ্টি ভেজা এক সন্ধ্যা। রিমঝিম বৃষ্টির শব্দে পুরো গ্রামের পরিবেশ এক অদ্ভুত শান্তিতে ভরে উঠেছিল। এ রকম পরিবেশে সাধারণত মানুষ ঘরে বসে চা বা কফি নিয়ে আরাম করে, কিন্তু সেদিন রাহুলের মনে ছিল অন্য কিছু। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি পুরনো বাড়ি নিয়ে অনেকদিন ধরেই গুজব ছড়াচ্ছিল। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কেউ কেউ বলে বাড়ির ভেতর থেকে রাতে কান্নার আওয়াজ শোনা যায়, আবার কেউ বলে রক্তের দাগ নাকি বারবার সেখানে দেখা যায়। কিন্তু সত্যি কি? তা কেউ জানে না। রাহুল শহর থেকে গ্রামে এসেছিল কিছুদিনের জন্য। ঢাকার ব্যস্ত জীবন থেকে দূরে এসে গ্রামের নির্জনতায় সময় কাটানোর জন্যই এসেছিল সে। কিন্তু সেই পুরনো বাড়ির গল্প তাকে কৌতূহলী করে তুলেছিল। গ্রামের লোকেরা বারবার তাকে নিষেধ করলেও, সে ঠিক করেছিল যে সে সেখানে একবার ঢুঁ মেরে আসবেই। সে বিশ্বাস করতে চেয়েছিল যে এসব ভূতের গল্প কেবল মানুষকে ভয় দেখানোর জন্যই বানানো হয়। দ্বিতীয় ধাপ: গন্তব্যের পথে বিকেলের শেষ আলো মরে যেতে যেতে রাহুল একাই বেরিয়ে পড়ল সেই বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছোট রাস্তা পেরিয়ে একটি বাঁশবনের পাশ দ...

ভ্রমণ গল্প: একটি নতুন দিগন্তের যাত্রা সাফিয়ার বিদেশযাত্রার কাহিনী

Image
 ভ্রমণ গল্প: নিশীথের আকাশটা আজ বেশ মেঘলা। পূবের দিকে কিছু দূরে তেজস্বী আলো ফুটেছে, কিন্তু দিগন্তের আশেপাশে ভিজে থাকা মেঘগুলো ঠিকই ঢেকে রেখেছে। বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকেন মশিউর রহমান, এলাকার একজন প্রবীণ ও সম্মানিত ব্যক্তি। আজ তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। তার মেয়ে, সাফিয়া, আজ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। মশিউর রহমান অনেক বছর ধরে একটি ছোট গ্রামে বাস করছেন। তার জীবনের পুরোটা সময়ই তিনি এই গ্রামে কাটিয়েছেন, যেখানে গাছপালা, নদী এবং পাখিদের গানই তার দিনের আনন্দ ছিল। কিন্তু আজ, তাঁর মেয়ের বিদেশ যাত্রা তাকে একদিকে গর্বিত করছে, অন্যদিকে কিছুটা উদ্বিগ্নও। সাফিয়া তার বাবার একমাত্র মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই সে মেধাবী ও উদ্যমী। তার এই অর্জনের পেছনে অনেক কষ্ট এবং অধ্যবসায় রয়েছে। তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল যে, সাফিয়া যেন ভালো কিছু করতে পারে, আর আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। বাবা, আমি ঠিক সময়েই পৌঁছে যাব, এই সাফিয়া বলল। তার চোখে কিছুটা উৎকণ্ঠা এবং উত্তেজনা। মশিউর রহমান মৃদু হাসি দিয়ে উত্তর দিলেন, আমার মেয়েকে সবসময় সম্মান দিয়ে রাখবে, জানো। বিদেশে যাওয়ার সময় কখনো কষ্ট করতে হবে না, শুধু মনে রেখো—তুমি ক...