Posts

Best jokes: Kuddus is in my private tuition.

পর্ব ১: ছাত্রের সমস্যা শীতলপুর। ছোট, আমার এক গ্রাম। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি — কুদ্দুস প্রধান। পুরানো প্রায় পঁচিশ, কিন্তু দেখতে মনে হয় ত্রিশের উপর। তিনি মাধ্যমিকে অঙ্কে পড়ান, তবে আরও বলেন, অঙ্কের বেশি অঙ্কের ফাজলামি চেয়ে' পড়াতে ওস্তাদ। কুদ্দুস ছেলের একটা মস্ত বড় সমস্যা আছে—তিনি ঘুমের মধ্যে হাঁটেন। শুধু হাঁটার সময় না, ঘুমের মধ্যে তিনি প্রাইভেট যান, ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্ন করেন, এমনকি তাদের বকে দেন! পার্টির মধ্যরা তার মা'ন, শেখ চৌকি থেকে ছাতা হাতে নিয়ে লিখুন, এই রফিক, আবার গরুর। ভুল ঘোড়ালি? ক্লাসে তোকে এক পিটুনি দেবো! মা ভয়ে দৌড়ে ঘুমাতে অনেক। কুদ্দুস ছেলে ছেলে কচলাতে বললেন, কাই মা, আমি তোকে নিখলাম! পর্ব ২: প্রাইভেট পাস সকাল সকাল কুদ্দুস আমাকে যেতে যেতে, তিনি এখন থেকে তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ুন। গঠন ফি মাত্র ৫ টাকা! পুরো গভীর হৈচৈ পড়ে গেল। পাঁচ টাকা! এই যুগে! ছাত্ররা দল বেঁধে গঠন করা। প্রথম প্রথম কিই হাজিরা ১২ জন ছাত্র—সবাই ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন। কেউ চশমা পাতার ছবি, বই গ্লাসে পানিতে বলে, পানির পাতা বের করতে পারি? কেউ আবার খরচ করে, আপনি বি...

literary story: ছায়া পথের ডাক

  ছায়া পথের ডাক প্রথম পর্ব: জিএসএ তৃষা মহিলা মেয়েটি কখনও স্বপ্ন দেখা না। রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়ুন আর সকালবেলা ঘুম থেকে কোনো অনুভূতি, আজও স্বপ্ন দেখলাম না কেন? সে ছিল এক নিঃসঙ্গ মেয়ে। একজন আর ফ্ল্যাটে সে আমার সাথে থাকে। বাবা তোমার সেই ছোটবেলায়। মা স্কুলশিক্ষা—সারাদিন খুঁজে বেরক্ষের দিকের দিকে শুধুই আরেন, মেয়ের মন খারাপ তার নজর পড়ে না। তৃষার একটাই ভালো লাগার জগৎ ছিল—তার ছাদ । রাত ছাদে দেব সে আকাশ দেখত। প্রতিটা তারা পরামর্শ তার সাথে, তারা তার জন্য ঝলমল করে। কখনো সে হিসেব রাখত, কোন তারা কোন সন্ধান করেছিল। এক রাত, আকাশে একটা অদ্ভুত আলো দেখা গেল। যোগ ঠিক উল্কার মত নয়, আবার তারা থেকেও। সেই আলো একটা ছোট রঙিন বিন্দু হয়ে গেল পশ্চিম আকাশে। তৃষা নীতি। পরদিন সকালের খবরের কাগজে লেখাও ছিল ঢাকায় দেখা গেল অদ্ভুত মহাজাগতিক আলো। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা পড়ুন আর নতুন মোবাইলের বিজ্ঞাপন নিয়ে। আলোটা পৌঁছে গেল। শুধু তৃষা ভুল না। দ্বিতীয় পর্ব: ছায়া পথের চিঠি তিনদিন পর রাত, ছাদে তৃষা আবার তাকাল আকাশে। ঠিক তখনই, একটা দল তার উপর পড়ে। সে চমকে উঠল। পাতাটা স্বচ্ছ! কোনো কোনো কাচের টুকরোতে লে...

মজাদার গল্প

  ভাঙা ঘড়ির সময় রাত তখন সাড়ে তিনটা। শহরের অলিগলিতে কুয়াশা ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাস্তার বাতিগুলো অর্ধঘুমে। অথচ একটি পুরনো ঘড়ির দোকানে তখনও আলো জ্বলছে। দোকানটির মালিক, এক বৃদ্ধ মানুষ — নাম তার আফতাব চাচা। তাঁর বয়স আশির কোঠায় হলেও চোখে-মুখে অদ্ভুত তেজ। একসময় শহরের বিখ্যাত ঘড়ি মেরামতের কারিগর ছিলেন। এখন আর কেউ ঘড়ি ঠিক করাতে আসে না, সবাই বলে, মোবাইলে সময় থাকে চাচা! তবু তিনি রোজ সকাল ৮টায় দোকান খোলেন, রাত ৯টায় বন্ধ করেন। যেন সময় তার কাছে আজও একটা পবিত্র চুক্তি।একদিন হঠাৎ এক কিশোর ঢুকল দোকানে। পরনে স্কুল ড্রেস, হাতে একটি ভাঙা দেয়াল ঘড়ি। চাচা, এই ঘড়িটা ঠিক করে দেবেন?আফতাব চাচা অবাক হয়ে ছেলেটার দিকে তাকালেন। তার চোখে ছিল উৎসাহ, শ্রদ্ধা আর একটা শূন্যতা।কার ঘড়ি এটা?  আমার নানুর। উনি নেই আর। কিন্তু আমি চাই ওটা আবার চলুক। আফতাব চাচা ঘড়িটা হাতে নিয়ে পরীক্ষা করলেন। পুরনো, ধূলিধূসরিত — তবে ভেতরে এখনো একটা ইচ্ছে কাজ করছে যেন। আমি ঠিক করে দেব। তবে সময় লাগবে।ছেলেটি হাসল।  সময় তো চলেই যায় চাচা, আপনি সময় নিয়ে করুন। ঘড়িটা রাখতে রাখতে আফতাব চাচার মনে পড়ল সেই সময়ের কথা, যখন তার স্ত্রী হাসনা বেগম তাক...

Funny stories for children: King Humbitumbi and the Lost Kingdom of Laughter

Image
 রাজা হম্বিতম্বি ও হারিয়ে যাওয়া হাসির রাজ্য ধাপ ১: হাসির রাজ্যে অশান্তি অনেক কাল আগে, সাত সাগর তেরো নদীর পারে ছিল এক অদ্ভুত রাজ্য— হাসিরাজ্য । এই রাজ্যের নাম শুনেই বোঝা যায়, এখানে সবাই হাসিখুশি, আনন্দে মেতে থাকে। এখানে কান্না নিষিদ্ধ। কেউ যদি হঠাৎ কেঁদে ফেলত, তবে রাজ্যের হাসি বাহিনী এসে তাকে জোর করে হাসাত! কেউ কেউ তো এত হাসতো যে নাকে দুধ পড়ে যেত। এই রাজ্যের রাজা ছিলেন হম্বিতম্বি , যিনি শৈশব থেকেই এমন হো হো করে হাসতেন যে পাশের গ্রামে ভূমিকম্পের গুজব ছড়াত। তার মাথার টুপিতে ঘণ্টা লাগানো, আর গলায় সবসময় বাঁশি ঝুলত। একবার তার বাঁশির শব্দে গরু দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল! তবে সে ছিল ভীষণ প্রিয়। রাজা প্রতিদিন সকালে হেসে ওঠতেন, হাহা হাহা হো হো, আর সাথেই বাজাতেন ঢোল। কিন্তু একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল। রাজ্যের প্রাচীন হাসিমাপক যন্ত্র খিকখিকো-৩০০০ জানিয়ে দিল, মহারাজ! রাজ্যে হঠাৎ করে হাসির হার ৩৩% কমে গেছে! রাজা ঘাবড়ে গেলেন। প্রাসাদে জরুরি সভা ডাকা হলো। সভায় সবাই এতক্ষণ চুপচাপ বসে ছিল—এমনকি রাজকীয় কৌতুকপাঠক লুচি মিঞাও কোনো জোক বলেনি। সবাই বলল, মহারাজ, রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তে এক নতুন জ...

Ghost Stories: The Shadow of Darkness

Image
ভূতের গল্প: অন্ধকারের ছায়া প্রথম অধ্যায়: পুরোনো বাড়ির গোপন শহরের বাইরে, একাকী দাঁড়িয়ে আছে পুরোনো একটি বাড়ি। অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস করেনি। সবাই বলে, রাতে ওই বাড়ির জানালা থেকে কাঁপুনি ওঠার মতো ঠান্ডা বাতাস বের হয় আর অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। রিন্টু, স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিল এক রাতে। হঠাৎ তার পায়ের কাছে একটা কিছু গড়িয়ে পড়ল। দেখল একটা ছোট্ট চাবি। আশেপাশে কেউ ছিল না, তাই curiosity-তে সে সেই চাবি নিয়ে সেই পুরোনো বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল। বাড়ির দরজা ছিল অনেকদিন ধরে বন্ধ, কিন্তু সেই চাবি দিয়ে দরজাটা খুলতে পারল সে। দরজা খুলতেই এক অদ্ভুত ঠান্ডা হাওয়া ভেতরে প্রবেশ করল। ভিতর ছিল পুরোনো আসবাবপত্র, ধুলোময়লা বই আর জমে থাকা জমাট ধূলার গন্ধ। রিন্টু ভাবল, এতদিন কেউ এখানে আসেনি কেন? তখনই দূর থেকে একটা নরম ফিসফিস আওয়াজ এলো। সে আতঙ্কিত হয়ে চুপ করে দাঁড়াল। হঠাৎ বাতাসে একটা ছায়াময় অন্ধকার ঢেউ তরঙ্গায়িত হল। রিন্টু বুঝতে পারল, সে কোনো অজানা রহস্যের মুখোমুখি। ভয়ে একটু পিছনে সরতে চাইল, কিন্তু কৌতূহল তাকে থামতে দিল না। সে ধীরে ধীরে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করল, আর ঠিক তখনই দরজাটা জোরে বন্ধ হয...

Funny memes: Conquering the universe with laughter

Image
 মজার মিমসে মহাবিশ্ব দাপানো  পর্ব ১: বগলুর বুদ্ধি ও বালতিভর্তি বেগুন পটলপুর হাইস্কুলে একদিন সকালেই হৈচৈ পড়ে গেল। কারণ? বগলু নামের কিশোর তার টিফিন বক্সে করে বই না এনে এনেছে এক বালতি বেগুন! হেডস্যার ক্লাসে ঢুকেই বললেন, বগলু, তোর বই কই? বগলু দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বলল, স্যার, আপনি তো বলছিলেন—আজকে ভারী জিনিস আনতে হবে! হেডস্যার হা করে তাকিয়ে রইলেন। ঘটনা এমন, স্কুলে নতুন গণিতের স্যার এসেছেন। তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন—আগামীকাল সবাই তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ জিনিস’ সঙ্গে আনবে। বগলু সেটা বুঝলো ‘ভর’ হিসেবেই। অতএব, সকালেই বাড়ি থেকে এক বালতি বেগুন কাঁধে নিয়ে এসে হাজির হলো। সবাই হেসে কুটিকুটি খাচ্ছে। টেবিলের নিচে ফিসফিসে হাসির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মজনু বললো, এই বেগুন দিয়ে তাহলে আজ গণিতে যোগ-বিয়োগ নয়, তরকারি বানাব! হেডস্যার পরপর তিনবার চশমা খুলে চোখ মুছলেন। তারপর বললেন, বগলু, তোকে আমি ভারী ছাত্র বলি ঠিকই, কিন্তু এত ভারী বেগুন এনে সবাইকে কনফিউজ করবি, এটা বলি নাই! বগলু মাথা চুলকে বলল, স্যার, বেগুনে গুণফল বেশি, তাই ভাবছিলাম গুণের জন্য বেছে এনেছি। সবাই হো হো করে হেসে উঠল। ক্লাসে আর পড়া হয়নি—সেই দিনটা...

Educational stories for kids: The Wise Man’s Garden, An Educational Journey for Children

Image
জ্ঞানীর বাগান: শিশুদের জন্য এক শিক্ষামূলক যাত্রা ধাপ ১: বাগানের শিশুরা এক গ্রামে ছিল এক বিস্ময়কর বাগান—যেখানে ফুল ফোটে জ্ঞানের আলোয়, গাছেরা শিখিয়ে দেয় ধৈর্য আর বাতাসে ভেসে বেড়ায় নীতির সুবাস। এই বাগানের নাম ছিল জ্ঞানবাগান । এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক ছিল, এই বাগানে শুধু ফুল-গাছ নয়, শেখার সুযোগও ছিল অফুরান। গ্রামের শিশুদের জন্য এখানে তৈরি হয়েছিল একটি বিশেষ স্কুল, যেখানে বইয়ের পাশাপাশি শেখানো হতো জীবনের মূল শিক্ষা: সততা, সময়ের গুরুত্ব, বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা, প্রকৃতির মমতা এবং স্বপ্নের পথ ধরে হাঁটার উৎসাহ। এই বাগানে পড়ত পাঁচটি শিশু—তারা ছিল আলাদা আলাদা স্বভাবের। ধাপ ৪: একতাই বল — সহযোগিতার পাঠ গুরু তরুর ঘণ্টা আবার বাজল, আর পাঁচজন বন্ধু একে একে ছুটে এলো। আজ তাদের মুখে কিছুটা উত্তেজনা—কারণ গতকাল তানভীর ও রাহাতের মধ্যে হালকা মনোমালিন্য হয়েছিল। তারা একে অপরকে সহায়তা না করায় খেলাধুলায় হেরে গিয়েছিল। গুরু তরু ধীর কণ্ঠে বলল, আজ আমি তোমাদের শেখাবো সহযোগিতা বা একসাথে কাজ করার শক্তি । সে একটি গল্প বলল—একবার একটি ছোট বনে চারটি খরগোশ বাস করত। তারা একদিন লক্ষ্য করল, একটি শেয়াল প্রতিদিন তাদের প...