Funny memes: Conquering the universe with laughter

 মজার মিমসে মহাবিশ্ব দাপানো 

Funny memes


পর্ব ১: বগলুর বুদ্ধি ও বালতিভর্তি বেগুন

পটলপুর হাইস্কুলে একদিন সকালেই হৈচৈ পড়ে গেল। কারণ? বগলু নামের কিশোর তার টিফিন বক্সে করে বই না এনে এনেছে এক বালতি বেগুন! হেডস্যার ক্লাসে ঢুকেই বললেন, বগলু, তোর বই কই? বগলু দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বলল, স্যার, আপনি তো বলছিলেন—আজকে ভারী জিনিস আনতে হবে! হেডস্যার হা করে তাকিয়ে রইলেন।

ঘটনা এমন, স্কুলে নতুন গণিতের স্যার এসেছেন। তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন—আগামীকাল সবাই তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ জিনিস’ সঙ্গে আনবে। বগলু সেটা বুঝলো ‘ভর’ হিসেবেই। অতএব, সকালেই বাড়ি থেকে এক বালতি বেগুন কাঁধে নিয়ে এসে হাজির হলো।

সবাই হেসে কুটিকুটি খাচ্ছে। টেবিলের নিচে ফিসফিসে হাসির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মজনু বললো, এই বেগুন দিয়ে তাহলে আজ গণিতে যোগ-বিয়োগ নয়, তরকারি বানাব!

হেডস্যার পরপর তিনবার চশমা খুলে চোখ মুছলেন। তারপর বললেন, বগলু, তোকে আমি ভারী ছাত্র বলি ঠিকই, কিন্তু এত ভারী বেগুন এনে সবাইকে কনফিউজ করবি, এটা বলি নাই!

বগলু মাথা চুলকে বলল, স্যার, বেগুনে গুণফল বেশি, তাই ভাবছিলাম গুণের জন্য বেছে এনেছি। সবাই হো হো করে হেসে উঠল। ক্লাসে আর পড়া হয়নি—সেই দিনটা হয়ে গেল বেগুন দিবস।

পর্ব ২: ঘন্টার ঘন্টা বাজল, স্কুল ছুটির ধোঁকা

পটলপুর হাইস্কুলের ক্লাসে সবাই চুপচাপ বসে আছে, এমন সময় আচমকা স্কুল ছুটির ঘণ্টা বাজতে শুরু করল। একবার না, টানা তিনবার! ছাত্ররা মনে করল—যাহ্‌! বুঝি ছুটি হয়ে গেল। সবাই ব্যাগ কাঁধে নিয়ে একে একে বেরিয়ে পড়তে লাগল। এমনকি কয়েকজন তো মাঠে গিয়ে খুচরো ফুটবল খেলাও শুরু করে দিল।

কিন্তু ঘন্টা বাজানোর সময় তো হয়নি! হেডস্যার তড়িঘড়ি করে মাঠে এলেন। গলা চড়িয়ে বললেন, ঘণ্টা বাজাইল কে?
তদন্তে বের হলো—ঘণ্টা বাজিয়েছে পটলপুরের বিখ্যাত পটকা ঝন্টু! সে গর্ব করে বললো, স্যার, আমি একটু ঘন্টা পরীক্ষা করতেছিলাম, যদি মাঝখানে বাজাই, স্কুল কি অটো ছুটি হয় কি না।

স্যার বললেন, তোর মাথায় যে ঘণ্টা বাজে, সেটা পরীক্ষা করিস!
এদিকে, মাঠে থাকা ছাত্ররা বলল, স্যার, ছুটি তো হয়ে গেছে, আবার ক্লাসে গেলে মন বসবে না!

হেডস্যার এবার মাইকে ঘোষণা করলেন, ঘণ্টা বাজলেই সবকিছু শেষ হয় না—কখনো কখনো শুরু হয় সাসপেনশন!

তবে দিনশেষে এই ঘটনা নিয়ে ক্লাসে পটকা দলের সবাই মিলে একটা নাম রাখলো ঘন্টার ঘন্টা।

পর্ব ৩: পেন্সিল দিয়ে রকেট বানানো বিজ্ঞানী

একদিন বিজ্ঞান ক্লাসে সবাই যখন পরমাণু, নিউক্লিয়াস নিয়ে মাথা চুলকাচ্ছে, তখন পেছনের বেঞ্চে বসে থাকা টিপু চুপিচুপি বানাচ্ছে তার নিজস্ব পেন্সিল রকেট। একটা পুরানো পেন্সিলের পিছনে দেশলাই কাঠি ভরে, তার ওপরে একটু ফসফর মিশিয়ে ছোট্ট রকেট বানিয়ে ফেলল সে!

সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে সে চুপি চুপি আগুন ধরাল। তারপরেই...

শুঁউউউউউউউউউউউউঁ!

একটা হালকা ‘বুড়’ শব্দ করে পেন্সিল জানালার বাইরে ছিটকে বেরিয়ে গেল—আর গিয়ে পড়ল সোজা মাঠের ভেতর বাগানের ঝাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের ক্লাস থেকেও মাথা বেরিয়ে এল, এইটা কি বুলেট গেলো?

হেডস্যার দৌড়ে এসে বললেন, কে রকেট ছেড়েছে?
টিপু দাঁড়িয়ে বলল, স্যার, ওটা রকেট না… পরীক্ষা চলতেছিল।
স্যার বললেন, পরীক্ষা? তুই তো মনে হচ্ছে পটলপুর NASA’র হেড!

পরে স্কুলে রীতিমতো ‘অগ্নিসংযোগ নিষেধ’ নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হলো। টিপুর রকেট একদিন পটলপুর ছাড়িয়ে তার বাবার দোকানের ছাদেও নাকি গিয়ে পড়েছিল। এখনো সকলে তাকে ডাকে—টিপু NASA

পর্ব ৪: কুমড়ার খাতা – পরীক্ষার দিনেই তাণ্ডব

পরীক্ষার দিন সকালে ঝন্টু বেশ গম্ভীর মুখ করে স্কুলে হাজির হলো। সবার হাতে যখন খাতা, কলম, বোর্ড, তখন তার হাতে এক বিশাল সাদা ব্যাগ। সবাই ভেবেছে, নিশ্চয়ই নতুন খাতা এনেছে। কিন্তু পর্দা সরে বেরিয়ে এল—একটা বিশাল কুমড়া!

হেডস্যার বললেন, এইটা কি? খাতা না কুমড়া?
ঝন্টু বলল, স্যার, আমি কুমড়ার পৃষ্ঠে উত্তর লিখব। আপনি তো বলেছিলেন—সৃজনশীল উত্তর চাই!

সবাই হেসে গড়িয়ে পড়ল। কুমড়ার গায়ে সে পেন্সিল দিয়ে ১+১ = ২ লিখে দেখাল। স্যার রেগে বললেন, তুই যদি আবার পরীক্ষা দিতে চাস, তবে খাতায় লিখে দিবি কুমড়ায় না!

ঝন্টু তখন বলল, স্যার, এই কুমড়ায় ক্যালরি আছে, খাতা শেষ হলে খেতেও পারি। স্যারের চোখ ছানাবড়া!
স্কুলে এরপর এক নির্দেশনা দেওয়া হয়—কোনও ছাত্র ফলমূল বা সবজিতে উত্তর লিখে জমা দিতে পারবে না।
ঝন্টুর কুমড়া খাতা আজো স্কুলের ট্রফি শেলফে রাখা আছে ‘মেমোরেবল মিসটেক’ নামে।

পর্ব ৫: পিঁপড়ার কনসার্ট

গরমের দুপুরে গণিত ক্লাস চলছে। সবাই ক্লান্ত, গা এলিয়ে দিয়েছে টেবিলের ওপর। হঠাৎ সবার চোখে পড়ে—টেবিলের ওপর দিয়ে সারি সারি পিঁপড়া হেঁটে যাচ্ছে! প্রথমে মনে হলো সাধারণ পিঁপড়া, কিন্তু তারপর দেখা গেল—তারা চলছে সোজা ঝন্টুর টিফিন বক্সের দিকে।

বক্স খুলতেই গন্ধ বেরোল মিষ্টির! আর পিঁপড়ারা যেন উৎসব শুরু করে দিল। কেউ পা তো কেউ নাক কামড়াচ্ছে। সবাই লাফিয়ে উঠল।

স্যার বললেন, ঝন্টু, তুই কি পিঁপড়ার জন্মদিনে দাওয়াত দিয়ে এনেছিস?

ঝন্টু দাঁড়িয়ে বলল, স্যার, ওরা আমার গানের ভক্ত। প্রতিদিন খাওয়ার সময় গান গাই, আজ একটু মিষ্টি দিয়েছি।

সত্যিই, সে ব্যাগ থেকে হারমোনিকা বের করলো, গুনগুন করে বাজাতেই পিঁপড়ারা যেন রীতিমতো নাচতে লাগল! পুরো ক্লাস যেন মিনি কনসার্টে পরিণত হলো।

স্যার বললেন, তোর মাথায় পিঁপড়ার গুঁড়ো পড়েছে কিনা সন্দেহ!

পরদিন স্কুলে নোটিশ দেয়া হয়—টিফিনে অতিরিক্ত চিনি আনা যাবে না।

পর্ব ৬: হরিণের পিঠে হোমওয়ার্ক

টুকাইয়ের হোমওয়ার্ক প্রতিদিনই গায়েব হয়—এমন অভিযোগে ক্লাসে সে খ্যাতি পেয়েছে হোমওয়ার্কহীন হিরো’ নামে। একদিন স্যার বললেন, আজ তোকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। কই হোমওয়ার্ক?
টুকাই মাথা নিচু করে বলল, “স্যার, হোমওয়ার্ক করেছিলাম, কিন্তু সেটা তো হরিণ নিয়ে গেল।

স্যার: হরিণ? কোথা থেকে?
টুকাই: স্যার, আমার খাতাটা আমি বারান্দায় শুকাতে দিয়েছিলাম। হঠাৎ এক বনের হরিণ এসে সেই খাতা মুখে করে নিয়ে যায়।
সারাদিন ক্লাস হাসতে হাসতে কাঁদল। মজনু বলল, দেখিস, কালকে হয়তো বলবি হাতি এসে প্রজেক্ট ফাইল নিয়া গেছে!

স্যার বললেন, তুই যদি হরিণ ফেরত এনে খাতা দেখাস, তাহলে তোর নাম রাখব ‘ফরেস্ট ম্যান টুকাই।
সেই থেকে টুকাইয়ের নতুন নাম: হোমওয়ার্কের হরিণ

পর্ব ৭: স্কুলের বাথরুমে বেলুন পার্টি

একদিন স্কুলের বাথরুম থেকে হঠাৎ বেলুন উড়তে দেখা গেল! প্রথমে সবাই ভেবেছিল ভুল দেখছে, কিন্তু না—লাল, নীল, সবুজ রঙের বেলুন সত্যিই ছাদ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে!

স্যার দৌড়ে গিয়ে দেখলেন, ভিতরে আছে ঝন্টু, টিপু আর বগলু—তারা নিজেদের বানানো টয়লেট পার্টি’ উদযাপন করছে!
টিপু বলল, স্যার, এটা বাথরুম না, আমাদের গোপন ক্লাব। আজ পার্টি ছিল।
স্যার রেগে বললেন, টয়লেট কি ক্লাব হয় রে পাগল?”
বগলু বলল, স্যার, এখানে শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়, তাই গান গাওয়ার জন্য ভালো!

বাথরুমে তারা লাইট ঝুলিয়ে দিয়েছে, বেলুন ফোলাচ্ছে, এমনকি মিষ্টিও এনেছে। পুরো ক্লাস হাঁ করে শুনছে।

স্যার বললেন, আজ থেকে তোমাদের এই পার্টি হবে স্কুলের বাইরে, আর বাথরুম হবে বাথরুমই!

সেই ঘটনার পর স্কুলে একটা নতুন নিয়ম চালু হয়—বাথরুমে বেলুন নিষিদ্ধ।

পর্ব ৮: পটলপুরে প্যারেড — হিরোদের বিদায়

স্কুলের শেষ দিন। পটলপুর হাইস্কুলে সবার চোখে জল—কারণ আজ ঝন্টু, টিপু, বগলু, মজনু, টুকাইরা স্কুল ছাড়ছে।
হেডস্যার বললেন, তোমরা শুধু ছাত্র ছিলে না, ছিলে ইতিহাস!
তাদের বিদায়ের দিনে স্কুলে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ প্যারেড। সবাই সেজে এসেছে—কেউ পরেছে সুপারম্যানের মাস্ক, কেউ হাতের জুতায় লিখেছে ‘মহাকাশ জয় করব’।
ঝন্টু বলল, স্যার, আমরা যদি কখনো নভোযান চালাই, পটলপুর হাইস্কুলের  লিখে দেব মহাকাশে।

টিপু মাথা নিচু করে বলল, স্যার, ভুল করলে মাফ করবেন।

স্যার হেসে বললেন, তোমাদের ভুলগুলোই ছিল আমাদের আনন্দ।
সেই দিন পুরো স্কুল কেঁদেছিল, হাসতেও ভীষণ মন চেয়েছিল, কারণ পটলপুরের পটকারা চলেই যাচ্ছে।

তবে গুঞ্জন শোনা যায়—একদিন এদের কেউ একজন সত্যি সত্যি ফিরবে... বাথরুম পার্টি, কুমড়ার খাতা বা রকেট হাতে। আর তখন আবার শুরু হবে—পটলপুরের পটকারা: সিজন ২!

করবেন।
স্যার হেসে বললেন, তোমাদের ভুলগুলোই ছিল আমাদের আনন্দ।
সেই দিন পুরো স্কুল কেঁদেছিল, হাসতেও ভীষণ মন চেয়েছিল, কারণ পটলপুরের পটকারা চলেই যাচ্ছে।

তবে গুঞ্জন শোনা যায়—একদিন এদের কেউ একজন সত্যি সত্যি ফিরবে... বাথরুম পার্টি, কুমড়ার খাতা বা রকেট হাতে। আর তখন আবার শুরু হবে—পটলপুরের পটকারা: সিজন ২!

এরকম বিষয়ে আরোও জানতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন বিষয় আপডেট হয়। এছাড়া এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট রয়েছে যেমন: বিভিন্ন বস্তুর আবিষ্কার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ, ছোটদের মজার রূপকথার গল্প, সাফল্য নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি এবং স্ট্যাটাস, বিখ্যাত মনীষীদের সাফল্য জীবনকাহিনী, মজার মজার জোকস ও কৌতুক, ভূতের গল্প, শিক্ষনীয় গল্প, প্রেমের কাহিনী, কাব্য উপন্যাস,শরীর সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারদের টিপস, ইসলামিক হাদিস , ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটের https://www.mahadistoryworld.com/


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
="0 0 384 512" stroke="none" fill="currentColor"> " viewbox="0 0 320 512" stroke="none" fill="currentColor">