literary story: ছায়া পথের ডাক
ছায়া পথের ডাক
প্রথম পর্ব: জিএসএ
তৃষা মহিলা মেয়েটি কখনও স্বপ্ন দেখা না। রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়ুন আর সকালবেলা ঘুম থেকে কোনো অনুভূতি, আজও স্বপ্ন দেখলাম না কেন?
সে ছিল এক নিঃসঙ্গ মেয়ে। একজন আর ফ্ল্যাটে সে আমার সাথে থাকে। বাবা তোমার সেই ছোটবেলায়। মা স্কুলশিক্ষা—সারাদিন খুঁজে বেরক্ষের দিকের দিকে শুধুই আরেন, মেয়ের মন খারাপ তার নজর পড়ে না।
তৃষার একটাই ভালো লাগার জগৎ ছিল—তার ছাদ ।
রাত ছাদে দেব সে আকাশ দেখত। প্রতিটা তারা পরামর্শ তার সাথে, তারা তার জন্য ঝলমল করে। কখনো
সে হিসেব রাখত, কোন তারা কোন সন্ধান করেছিল।
এক রাত, আকাশে একটা অদ্ভুত আলো দেখা গেল। যোগ ঠিক উল্কার মত নয়, আবার তারা থেকেও। সেই আলো একটা ছোট রঙিন বিন্দু হয়ে গেল পশ্চিম আকাশে।
তৃষা নীতি।
পরদিন সকালের খবরের কাগজে লেখাও ছিল ঢাকায় দেখা গেল অদ্ভুত মহাজাগতিক আলো।
কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা পড়ুন আর নতুন মোবাইলের বিজ্ঞাপন নিয়ে। আলোটা পৌঁছে গেল।
শুধু তৃষা ভুল না।
দ্বিতীয় পর্ব: ছায়া পথের চিঠি
তিনদিন পর রাত, ছাদে তৃষা আবার তাকাল আকাশে। ঠিক তখনই, একটা দল তার উপর পড়ে।
সে চমকে উঠল।
পাতাটা স্বচ্ছ! কোনো কোনো কাচের টুকরোতে লেখা কিছু। অংশ লেখা
তুমি আমাদের দেখতে পাও। তুমি ডাক পেয়েছো, ছায়া পথের বাসিন্দা তুমি এখন।
গ্যালাক্সি রক্ষক বিষয়
তৃষা মধ্য হাসল। কে ছাদে বলেছে তার মনে আছে।
কিন্তু যা ঘটল, বন্ধু ছিল অবিশ্বাস্য। আকাশ থেকে আকাশ এলো একটা আলোরশ্মি। শ্মিতা ত্রিষাকে ফেলল। সে আর চিৎকারও করতে পারল না, শরীর হয়ে গেল, মনে সে ভেসে যাচ্ছে।
দেখতে দেখতে স্বপ্ন, সে আছে এক অদ্ভুত জায়গায়। চারপাশে নীলাভ আলো, ঘোরগ্রহের গন্ধ।
তার পাশে আছে কিছু মানুষসদৃশ প্রাণীদের দেখতে বড়, রং রূপালি, মৃদু হাসি।
তারা বলতে,
তৃষা, তুমি পাওয়ার মানুষ যে মহাকাশের শব্দ শুনতে পারে। তুমি এখন আমাদের সাথে কাজ করবে, ছায়া পথের গল্প করতে।
তৃতীয় পর্ব: তারা-মেরি
তৃষাল জান, মহাকাশের প্রতিটা তারা থাকে গল্প। মানুষের ভালোবাসা, ভালোবাসা, কান্না, প্রদক্ষিণ—সব কিছু এক ধরনের জ্যোতিবিক তরঙ্গ রূপান্তর হয়ে ছুটে যায় মহাকাশে।
তারা সেই আঙ্গিক সংগ্রহ করে, ছায়ার এক বিশাল আর্কাইভে জমা জমা দেয়।
এই আর্কাইভকে বলা হয়— তারা-মেমোরি ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে, একজন একজন এই তাদের গল্প মুছে কেউ পাঠায়। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা পাওয়া যাচ্ছে, অনুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে, মনে করা হচ্ছে মুচকি কথাগুলো।
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরোধিতা করার জন্য তৃষাকে ডাকা হয়েছে।
সেপ্রকার গল্প সংগ্রাহক হয়ে উঠল।
আকাশ পর্ব: প্রথম
তৃষার প্রথম ছিল এক দূর গ্রহে—নাম আভোলিয়া।
সেখানে এক ভিন্ন ভিন্ন সভতা ছিল, যেখানে কেউ বাঁচতে পারত না। কিন্তু মনে করে তারা সব বন্ধুকে হারিয়েছে।
তৃষা দেখতে পেল, পুরো গ্রহ গ্রহে গিয়ে রোবটদের গ্রহ। থোকা থোক
সে একটা পাহাড়ে গিয়ে রাতের আকাশে হাত দিয়েছিল। মনে মনে তার মনে মনে তার কথা, যে তাকে ছেড়ে তার মধ্যে বাবার কথা, তার কথা, কখনো তাকে ভালোবাসার কথা বলে।
তার জল এলো।
আশ্চর্যজনকভাবে, সেই জলের একটা নীল রঙের গোলক তৈরি করা, যা ঘুরতে ঘুরতে পুরো গভীরে উত্সাহ পড়ল।
সকাল করে চারদিক গেল। আভোলিয়ার মানুষগুলো আবার হাসতে শুরু করে। কেউ কনল, কেউ গান গাইতে শুনতে।
তৃষার প্রথম সফলতা।
পঞ্চম পর্ব: বিদায়
তৃষার কাজ করাল। সে গ্রহে গ্রহে ফিরে আনল শত শত গল্প। তার নিজের হৃদয়ও জানতে পারে।
আপনি এখন ফিরে যেতে পারেন । কিন্তু মনে রেখো, মনে মনে আর মনে হবে না।
তৃষা জানত, সে ভুল গেছে। তার এখন মনের এক মহাশক্তি।
সে চোখ বন্ধ কর, আর যখন দেখো খুলল, তখন সে আবার তার ছাদে।
রাত গভীর, আকাশে তারা।
কিন্তু আজ সে সুন্দর, তারা শুধু আলো নয়। তারা
সব গল্পের সমাহার।
উপসংহার
এখন রোজ রাত ছাদেষা ট্রফি। আকাশের দিকে একটা করে গল্প। কেউ অভিজ্ঞতা না, সেই গল্পগুলো পড়ে যায়।
কিন্তু কেউ কেউ যখন গভীর দুঃখে পড়ে যায়, তখন মনে হয় বুকের কিছু একটা আলো জ্বলে।
তখন তারা ভাবে,
এই কোথা থেকে এলো?
তৃষার গল্প তখন নীরবে হাসে।