Funny story
সততার পুরস্কার”
ধাপ ১: হেলালের ছোট্ট জীবন
হেলাল ছিল গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই সে খুব সৎ আর পরিশ্রমী ছিল। তার বাবার ফসলি জমিতে সে সাহায্য করত, আর ফাঁকে ফাঁকে স্কুলে যেত। বই কেনার টাকার অভাবে সে পুরোনো বই জোগাড় করত, আর বাতি নিভে যাওয়ার পর চাঁদের আলোতে পড়ত। তার একটাই স্বপ্ন—একদিন সে একজন সৎ অফিসার হবে।
ধাপ ২: হারানো ব্যাগ
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে হেলাল রাস্তার পাশে একটা কালো ব্যাগ দেখতে পেল। সে ব্যাগটা তুলে দেখল, ভিতরে মোটা টাকার বান্ডিল, কিছু কাগজপত্র
আর একটা আইডি কার্ড। মুহূর্তেই সে বুঝে গেল, এটা কোনো বড়লোকের ব্যাগ। কেউ হারিয়ে ফেলেছে। সে না ভেবে সোজা চলে গেল স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ি এবং ব্যাগটা দিয়ে বলল, “আমি এটা রাস্তা থেকে পেয়েছি। দয়া করে সঠিক ব্যক্তিকে ফেরত দিন।”
ধাপ ৩: ফিরিয়ে দেওয়া টাকার গল্প
চেয়ারম্যান সাহেব ব্যাগ খুলে দেখে হতবাক! এতো টাকা! কয়েক মিনিট পরই এক ভদ্রলোক ছুটে এসে কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, “আমার টাকার ব্যাগ হারিয়ে গেছে, আমি সর্বনাশ হয়ে গেছি!” তখন চেয়ারম্যান বললেন, “আপনার ব্যাগ এখানেই আছে। এই ছেলেটা পেয়েছিল।” ভদ্রলোক হেলালকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। তিনি বললেন, “তুমি সত্যিই মহান। এই টাকা দিয়ে আমি হাসপাতালের বিল দিতে যাচ্ছিলাম। তুমি না পেলে আমার সব শেষ হয়ে যেত।”
ধাপ ৪: বড় হওয়ার শুরু
এই ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল। হেলালের সততা নিয়ে সবাই মুগ্ধ হয়ে গেল। সেই ভদ্রলোক ছিলেন শহরের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি হেলালের পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিলেন। শহরের ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন এবং বললেন, “তুমি একদিন বড় কিছু হবে।” হেলাল প্রতিদিন আরও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে লাগল। পরীক্ষায় সে বরাবর ভালো করত।
ধাপ ৫: সততার পুরস্কার
বছর পেরিয়ে যায়। হেলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করে। এক সময় সে একজন সৎ ও দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ওঠে। একদিন গ্রামে ফিরে সে তার বাবার হাত ধরে বলল, “বাবা, আজ আমি যে অবস্থানে, তা তোমার শিক্ষা আর আমার সততার ফল।” গ্রামের মানুষ