ছোটদের মজার গল্প: বানর মামার বুদ্ধি
গল্পের নাম: বানর মামার বুদ্ধি
ধাপ ১: গাছতলায় তিন বন্ধু
জঙ্গলের পাশে ছোট্ট এক পুকুরঘাটের কাছে বাস করত তিন বন্ধু—বানর মামা, খরগোশ কুটকুট আর কচ্ছপ ছুটছুট। তিনজনের মধ্যে বানর ছিল একটু চালাক, খরগোশ দুষ্টু আর কচ্ছপ ছিল ধীর-স্থির ও শান্ত। তারা প্রতিদিন দুপুরবেলা বড় আমগাছের নিচে বসে গল্প করত, খেলাধুলা করত আর আম খেত।
ধাপ ২: ঝগড়ার শুরু
একদিন হঠাৎ ঝামেলা বাধল। খরগোশ কুটকুট বলল, আজ আম আমি বেশি পেয়েছি, কারণ আমি সবচেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারি। কচ্ছপ বলল, কিন্তু আমি গাছে উঠতে পারি না, তাই তোমরা সব আম নিয়ে নাও। বানর মামা তখন গাছের উপর বসে বলল আহারে! তোদের এই ঝগড়ায় তো আমের মজা শেষ। সবাই চুপচাপ হয়ে গেল। বানর তখন একটা বুদ্ধি দিল।
ধাপ ৩: বানরের বিচার
বানর মামা বলল, চলো আজ থেকে আমরা একটা নিয়ম করি। আমি গাছ থেকে সমান সংখ্যায় আম ছিঁড়ে আনব, তারপর তিন ভাগ করব। একটাও বেশি-কম হবে না। সবাই রাজি হল। এরপর থেকে বানর প্রতিদিন তিনজনের জন্য সমান করে আম আনত।
ধাপ ৪: গোপন চুরি
একদিন খরগোশ খুব লোভে পড়ে গেল। সে রাতে এসে গাছের নিচে কিছু পাকা আম চুরি করে নিয়ে গেল। সকালে এসে বলল, আহা! আজ তো বানর কম আম আনছে। বানর চুপ করল। কিন্তু সে গাছের উপরে লুকিয়ে খরগোশের কাণ্ড দেখে ফেলেছিল।
ধাপ ৫: বানরের বুদ্ধি কাজে লাগে
পরদিন বানর মামা সবার জন্য খালি ঝুড়ি এনে দিল। বলল, “আজ থেকে যার ঝুড়িতে বেশি আম, সে চোর!” খরগোশ হাসতে লাগল, কারণ সে জানে, বানর কিচ্ছু ধরতে পারবে না। কিন্তু হায়! বানর আগেই তার ঝুড়িতে কিছু সাদা রঙের পাউডার ছিটিয়ে রেখেছিল। যখন সবাই ঝুড়ি নিয়ে ঘুরে এল, তখন খরগোশের পা আর মুখে সাদা রঙ লেগে গেল! সবাই বুঝে গেল সে-ই চোর। খরগোশ লজ্জায় মাথা নিচু করল।