Funny stories for children: Titli and the Magical Garden
মজার রূপকথার গল্প
গল্পের নাম: তিতলি আর জাদুকরি বাগান
এক ছোট্ট গ্রামের পাশে ছিল এক অদ্ভুত বাগান। এই বাগানটির মধ্যে লুকানো ছিল অনেক রহস্য, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় রহস্য ছিল—এই বাগানটি ছিল এক জাদুকরি স্থান। কথিত আছে, বাগানটির মধ্যে এক বিশাল সোনা-রঙের ফুলের ক্ষেত ছিল, এবং সেই ফুলগুলো রাত্রে আলো ছড়াত। কেউ এই বাগানে প্রবেশ করলেই, সে জায়গাটির জাদু অনুভব করতে পারত।
তিতলি ছিল গ্রামের এক সাহসী মেয়ে। তার মধ্যে ছিল প্রকৃতির প্রতি বিশেষ আগ্রহ এবং রহস্যের প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ। সে প্রায়ই গ্রামের আশপাশে ছোট ছোট অভিযানে বের হত, কিন্তু এই বাগানের রহস্য তাকে সব সময় আকর্ষণ করত। একদিন, সে ঠিক করল, সে এই রহস্য ভাঙতে যাবে।
গ্রাম থেকে কিছু দূরে, পাহাড়ের পাদদেশে ছিল ওই বাগানটি। তিতলি একদিন একলা বেরিয়ে গেল তার মা-বাবাকে না জানিয়ে। গ্রামের সকলেই বলেছিল, তিতলি, ওই বাগানে যেন কখনো পা না রাখো, কারণ সেখানে ভয়ঙ্কর কিছু আছে! তবে তিতলি এসব কথায় কখনোই ভয় পেত না। তার কৌতূহল এতই বেশি ছিল যে, সে সিদ্ধান্ত নিল, সে এই জাদুকরি বাগানটি খুঁজে বের করবে।
বাগানটির কাছে পৌঁছে তিতলি অবাক হয়ে দেখল, বিশাল একটি দরজা সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দরজাটি এতটা পুরনো ছিল যে, তার একপাশের কাঠগুলি ছিল সম্পূর্ণ ক্ষয়ে যাওয়া। দরজার ওপরে জটিল নকশা খচিত ছিল, যা দেখে তিতলি বুঝতে পারল, এই বাগানটা কোনো সাধারণ জায়গা নয়। সে কাঁপতে কাঁপতে দরজাটি খুলল।
দরজা খুলতেই এক বিশাল বাগান তার সামনে প্রসারিত হলো। এখানে ছিল রঙ-বেরঙের ফুলের সমারোহ, এবং ফুলগুলোর পাপড়ি ছিল ঝকমকে সোনালি। অনেক ফুল ছিল যে রাত্রে মেঘের মধ্যে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে রাখত। তিতলি অবাক হয়ে এগিয়ে চলল। বাগানের মধ্যে এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজমান ছিল, যেন পৃথিবীর অন্য কোনো চিন্তা বা দুশ্চিন্তা এই জায়গায় পৌঁছাতে পারে না।
এত সুন্দর বাগানে তিতলি একটুও ভয় পেল না, তবে তার মধ্যে কিছু একটা ছিল যা তাকে আরও বেশি কৌতূহলী করে তুলছিল। সে আরও ভেতরে এগিয়ে গেল, এবং হঠাৎ দেখতে পেল এক ছোট্ট পোকা তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। পোকাটি ছিল একটু বড়, কিন্তু তার পিঠে ছিল সোনালি রঙের গুণ। পোকাটি তাকে এক দৃষ্টিতে দেখল এবং মৃদু হাসল।
তুমি এখানে কী খুঁজছো, ছোট্ট মেয়ে? পোকাটি বলল।
তিতলি একটু ভয় পেয়ে বলল, আমি জানতে চাই, এই বাগানটির রহস্য কী? কেন এটি এত সুন্দর এবং রহস্যময়?
পোকাটি আবার হাসল এবং বলল, এই বাগানটি সাধারণ নয়। এখানে এক অদ্ভুত জাদু লুকিয়ে রয়েছে। তবে সে জাদু শুধু বিশেষ কিছু মানুষের জন্যই খোলামেলা হয়। তুমি যদি জানতে চাও, তবে তোমাকে একটি পরীক্ষা দিতে হবে।
তিতলি ভাবল, পরীক্ষা? সে বলল, আমি প্রস্তুত। আমি জানতেই চাই।
পোকাটি এক পা পিছিয়ে গিয়ে একটি ছোট ঝিলিক তাম্বুলে ফুলের পাপড়ির ওপর ফেলল। এক মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে এক ঝলক আলো ছড়িয়ে পড়ল। তিতলি অবাক হয়ে দেখল, ফুলগুলো একে একে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে এবং আলো থেকে শোনা যাচ্ছিল মৃদু সুর। পোকাটি বলল, এই বাগানের সব ফুলের পেছনে একটা গোপন শক্তি রয়েছে। তোমাকে প্রথমে সেই শক্তি খুঁজে বের করতে হবে।
তিতলি তার দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বলল, "তাহলে কীভাবে আমি এই শক্তি খুঁজে বের করব?"
পোকাটি হেসে বলল, তোমার আগে আরও অনেককে এই পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তবে তারা সবাই ভয়ে পালিয়ে গেছে। তুমি যদি সত্যিই সাহসী হও, তবে তোমাকে বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটি খুঁজে বের করতে হবে, যেটি হবে এই রহস্যের চাবিকাঠি।
তিতলি আর কোনো কথা না বলে বাগানের মধ্যে আরো গভীরে প্রবেশ করল। তার মধ্যে এক অদ্ভুত শক্তি অনুভূত হচ্ছিল, যা তাকে আরও এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করছিল। পথে, সে নানা ধরনের ফুলের মাঝে গিয়ে দেখল, কিছু ফুল বিশেষভাবে উজ্জ্বল ছিল, আবার কিছু ফুল ম্লান হয়ে যাচ্ছিল।
তিতলি বুঝতে পারল, এই ফুলগুলোর পেছনে কোনো গভীর রহস্য লুকানো আছে। সে এগিয়ে চলল, যতক্ষণ না সে এক বিশাল গাছের কাছে পৌঁছালো। গাছটির শাখা-প্রশাখা এত বড় ছিল যে, তার ছায়া পুরো বাগানকে আচ্ছাদিত করে রেখেছিল। গাছটির নীচে ছিল একটি ছোট্ট পথ, যা এক অন্ধকার গহ্বরে চলে গেছে।
তিতলি চোখ বড় করে গহ্বরে তাকাল, তারপর সাহস করে সে পথে পা রাখল। এই পথটি ছিল আরও অন্ধকার, তবে তিতলির মনে কোনো ভয় ছিল না। গহ্বরের শেষপ্রান্তে, সে একটি সোনালি রঙের ফুল দেখতে পেল, যা একে একে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছিল। তিতলি অনুভব করল, এটি সেই ফুল যা তাকে খুঁজতে বলা হয়েছিল। সে ফুলটির কাছে গিয়ে সনাক্ত করল,
এটি ছিল এক বিশেষ ধরনের ফুল, যা কখনোই শুকায় না।
তিতলি ফুলটি তুলে ধরতেই, হঠাৎ আশপাশে আলো ঝলমল করে উঠল এবং তার সামনে এল এক অদ্ভুত দৃশ্য। সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এক বিশাল মাপের সোনালি পোকা, যা তার আগের পোকাটির থেকেও অনেক বড় এবং শক্তিশালী ছিল।
তুমি সফল হলে, ছোট্ট মেয়ে, পোকাটি বলল। তোমার সাহস এবং কৌতূহল তোমাকে এই বাগানের শক্তির মুলে পৌঁছে দিয়েছে।
তিতলি অবাক হয়ে বলল, এটি কী?
পোকাটি তার চোখে চোখ রেখে বলল, এটি সেই শক্তি যা বাগানের জীবন এবং সৌন্দর্য রক্ষা করে। তুমি যদি এই ফুলের পাপড়ি আবার ফেরত দাও, তবে বাগান তার আসল শক্তি ফিরে পাবে, এবং এই রহস্যের চাবিকাঠি তোমার হাতেই থাকবে।
এরকম বিষয়ে আরোও জানতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন বিষয় আপডেট হয়। এছাড়া এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট রয়েছে যেমন: বিভিন্ন বস্তুর আবিষ্কার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ, ছোটদের মজার রূপকথার গল্প, সাফল্য নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি এবং স্ট্যাটাস, বিখ্যাত মনীষীদের সাফল্য জীবনকাহিনী, মজার মজার জোকস ও কৌতুক, ভূতের গল্প, শিক্ষনীয় গল্প, প্রেমের কাহিনী, কাব্য উপন্যাস,শরীর সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারদের টিপস, ইসলামিক হাদিস , ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটের https://www.mahadistoryworld.com/
Comments
Post a Comment