গণিতশাস্ত্রে বিভিন্ন মুসলিম মনীষীদের অবদান

 গণিতশাস্ত্রে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়।এই মুসলিম মনীষী গুলো গণিতের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বের করেছেন। তাদের গণিত আবিষ্কারের সূত্র ধরেই আধুনিক যুগের গণিত আবিষ্কৃত হয়েছে। এই মুসলিম মনীষীদের সংখ্যা প্রায় অগণিত। সেই অগণিত সংখ্যা থেকে কয়েকটি মুসলিম মনীষীদের গণিত শাস্ত্রের অবদান উল্লেখ করা হলো:

মুহাম্মদ ইবনে মূসা আল খাওয়ারেযমি

আল খাওয়ারেযমি ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে খাওয়ারেযম নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনাকে গণিত শাস্ত্রের জনক বলা হয়। তিনি হলেন বীজগণিতের আবিষ্কারক। আল খাওয়ারেযমি বীজগণিত ছাড়াও গণিতের অন্যান্য শাখায় অবদান রাখেন। যেমন:  সমীকরণের  সমাধান করার জন্য ৬ টি পদ্ধতি তিনি আবিষ্কার করেন। তিনি পাটিগণিত বিষয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ৮৫০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

উমর খৈয়াম

উমর খৈয়াম ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দে  পারস্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনাকে বলা হতো প্রথম শ্রেণীর গণিতবিদ। তিনার গণিত শাস্ত্রের একটি অমর গ্রন্থ হলো (কিতাবুল জীবার ওয়াল মুকাবালা) । বিভিন্ন ধরনের সমীকরণ পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে সংজ্ঞানুসারে এগুলোকে শ্রেণীভুক্ত করে, ওমর খৈয়াম বীজগণিতে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান। এই বিষয়ে তিনি গ্রীকদের থেকেও বেশি পারদর্শী দেখিয়েছেন। পাটিগণিত এবং গণিতের অন্যান্য শাখা নিয়ে তিনি বহু সংখ্যক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১১২২ খ্রিস্টাব্দে।

মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন তুসি

নাসির উদ্দিন তুসি ১২০১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের তুশ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনাকে ত্রিকোণমিতিকের উদ্ভাবক বলা হয়। তিনি প্রায় ৫৬ টি বই লিখেন তাদের মধ্যে জ্যামিতি, গোলাকার, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ত্রিকোণমিতি এগুলো বিষয়ে ১৬ টি বই রচনা করেন। নাসির উদ্দিন তুসি ত্রিকোণমিতিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান হতে পৃথক করে সমতল ও গোলাকৃৎ ত্রিকোণমিতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন। তিনি ১২৭৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

এরকম বিষয়ে আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। ওয়েবসাইটের লিঙ্ক https://www.mahadistoryworld.com/

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url