Inspirational story: The story of a boy becoming a magistrate despite being among many poor people.
অনেক দরিদ্রের মাঝে থেকেও একজন ছেলের ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার গল্প :
পর্ব ১: জন্ম ও শৈশব – ঝড়ের মাঝে আগুন জ্বালানো:
দিনাজপুর জেলার এক ছোট্ট গ্রাম—বালুবাড়ি। ভোর হলেই এই গ্রামে ঘুম ভাঙে মোরগের ডাক আর গরিব কৃষকের কোদাল হাতে বেরিয়ে পড়া দেখে। এই গ্রামের এক প্রান্তে, বাঁশ দিয়ে বানানো একটা খুপরি ঘরে জন্ম নেয় রিয়াজুল ইসলাম। ঘরের ছাদ ছিল টিনের, পাশ দিয়ে পানি পড়ত বর্ষায়, আর জানালা বলতে ছিল কাঠের একটা ফাঁক। মা সায়েরা বেগম বলতেন—ছেলেটা আমার জন্ম থেকেই অন্যরকম। কাঁদত কম, তাকিয়ে থাকত অনেক বেশি।
রিয়াজুলের বাবা জসিম মিয়া প্রতিদিন সকালবেলায় মাঠে যেতেন। তার পেশা—দিনমজুর। কখনো মাটি কাটেন, কখনো ধান লাগান, কখনোবা রিকশা চালান। আয় দৈনিক গড়ে ২০০-২৫০ টাকা। সেই টাকায় চলত
পাঁচজনের সংসার। কখনো পুরো মাস চাল চলে আসত না, কখনো কাঁচা মরিচ আর লবণ দিয়ে ভাত খেতে হতো। ছোট দুই ভাইবোনকে নিয়ে মা অনেক সময় আধপেটা খেয়ে থাকতেন, যাতে বড় ছেলে রিয়াজ অন্তত এক বেলা খেতে পারে।
রিয়াজ ছোটবেলা থেকেই শান্ত স্বভাবের ছিল। মাটি নিয়ে খেলার চেয়ে তার আগ্রহ ছিল বাবার হাতে ধরা পত্রিকাটায়। সে বোঝার আগেই শব্দগুলো পড়ে ফেলত। পাঁচ বছর বয়সে সে গ্রামের মক্তবে ভর্তি হয়। অক্ষর শেখার আগ্রহে প্রথমদিকে এক মাসেই কুরআন শরীফের বেশ কিছু আয়াত মুখস্থ করে ফেলে। সবাই অবাক হয়ে দেখত, এত গরিব ঘরের ছেলে কীভাবে এত মেধাবী!
তবে অর্থকষ্ট তাদের পিছু ছাড়ত না। তাদের কুঁড়ে ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ, রাত নামলে কেরোসিনের বাতিতে
আলোর ব্যবস্থা করতে হতো। কিন্তু কেরোসিনও প্রতিদিন কেনা সম্ভব ছিল না। তাই মা একটা ছোট্ট কৌশল নেন—বাড়ির পাশের আমগাছের শুকনো পাতা জ্বালিয়ে ছোট একটা লণ্ঠন বানান, যার আলোয় রিয়াজ রাত জেগে পড়াশোনা করত।
একদিন মা বাজার থেকে ফেরা রিয়াজকে প্রশ্ন করেন, তুই কী হতে চাস?
রিয়াজ উত্তর দেয়, আমি এমন কিছু হতে চাই, যাতে আপনি আর কাঁথা বুনে টাকায় দাদির ঔষধ কিনতে না যান।
এই এক লাইনের উত্তরই হয়তো তার জীবনের ভিত গড়ে দেয়।
প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু হয় তার প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরই শিক্ষকরা তার ভিন্নতা টের পান। ক্লাসে একবার শেখানো বিষয় সে দ্বিতীয়বার বলার দরকার হতো না। একজন শিক্ষক বলেছিলেন—এই ছেলে ঠিকভাবে বই পেলে অনেক বড় হবে।
কিন্তু বই পাওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছর নতুন বই কেনার সামর্থ্য ছিল না। পাড়ার এক বড় ভাইয়ের পুরাতন বই দিয়ে কোনোভাবে টিকিয়ে রাখতেন।
সেই বইগুলো অনেক সময় ছেঁড়া থাকত, নোটের পাতাগুলো মাঝ থেকে খসে পড়ত। কিন্তু রিয়াজ থামত না। নিজের হাতে কাগজ কেটে হারানো অংশ নিজে লিখে ফেলত। সে সময় তার খেলনা বলতে ছিল পেনসিল, কাগজ, আর কাঁচি।
ছোটবেলার এই দারিদ্র্য, অনাহার আর সীমাহীন প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও একটাই জিনিস তাকে থামতে দেয়নি—তার চোখে জন্ম নেওয়া স্বপ্ন।
পর্ব ২: প্রাথমিক শিক্ষা – ছেঁড়া বই, জ্বলন্ত চোখ:
রিয়াজুল যখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলো, তখন তার বয়স ছয় বছর। তার হাতে ছিল না নতুন খাতা, ছিল না ঝকঝকে পেন্সিল কিংবা রঙিন ব্যাগ। ছিল শুধুমাত্র বাবার তৈরি করা এক টুকরো কাপড়ের ব্যাগ, যাতে গুঁজে দেওয়া হতো পুরোনো বই আর কয়েকটা কলমের ভাঙা অংশ। ক্লাসে ঢুকেই সে চুপচাপ এক কোণে বসত। শিক্ষকরা প্রথমদিকে ভেবেছিলেন সে হয়তো ভীতু ছেলে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা বুঝতে পারলেন—এই ছেলেটা অন্যরকম। সে যেমন ধীরস্থির, তেমনি গভীর মনোযোগী।
প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষক যখন অক্ষর শেখাতেন, তখন অধিকাংশ শিশু অ-আম বলতেই আটকে যেত। আর রিয়াজ পুরো অ আ ক খ গ-র তালিকা মুখস্থ করে ফেলত তিন দিনের মাথায়। ক্লাসের শিক্ষক আশ্চর্য হয়ে একদিন বললেন, এই ছেলেটার চোখে আগুন আছে। ওর চোখ জ্বলছে জানার খিদেয়।
তবে জানার আগ্রহ থাকলেও, অভাব ছিল তার প্রতিটি পায়ে-পায়ে। তার একমাত্র জুতোটা ছিল ভাঙা, প্লাস্টিক দিয়ে প্যাঁচানো। স্কুলে যাবার সময় অনেকেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, বলত, এই ছেঁড়া জামা আর ছেঁড়া ব্যাগ নিয়ে স্কুলে আসে কেমন করে! কিন্তু সে কারো কথা কানে নিত না। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে সে মুখে মুখে কবিতা আওড়াত, মুখস্থ করত অঙ্কের ছক।
তার মা সায়েরা বেগম কখনোই তাকে ক্লাস কামাই করতে দেননি। গরমে হোক বা বৃষ্টিতে, ছেলেটাকে ঘুম থেকে তুলে বলতেন, তুই একদিন অফিসার হবি, স্কুল ছাড়বি না। মায়ের এই এক বাক্যের শক্তিই তাকে প্রতিদিনের কষ্টের সঙ্গী করে তুলত। এমনও দিন গেছে, পেটে কিছু না পড়েই সে স্কুলে গিয়েছে। শিক্ষক বুঝে গেলে মাঝে মাঝে কিছু খাবার দিতেন—কোনোদিন মুড়ি, কোনোদিন কলা।
তৃতীয় শ্রেণিতে উঠে সে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত এক পাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তার প্রতিপক্ষ ছিল শহরের ভালো স্কুলের ছাত্ররা, যারা চকচকে জামা পরে, নতুন বই নিয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতার দিন রিয়াজ বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে গলায় জোর দিয়ে পাঠ করে—আমি বাংলায় গান গাই...
সেই দিন সে প্রথম পুরস্কার পায়—একটা বড় ডায়রি আর একটি মেডেল। সে ডায়রি সে যত্ন করে বাড়ি এনে মায়ের হাতে তুলে দেয়। মা তখন চোখের জল মুছতে মুছতে বলে, তুই যে একদিন জজ হবি, এখন আমি বুঝতেছি।
চতুর্থ শ্রেণিতে উঠে সে আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে নিয়ে বিশেষ কেয়ার নিতে থাকেন। এক শিক্ষক—আবুল কালাম স্যার তাকে প্রতিদিন স্কুল শেষে এক ঘণ্টা অতিরিক্ত পড়াতেন, কোনো টাকা ছাড়াই। স্যার বলতেন, তোর চোখে স্বপ্ন আছে, আমি স্বপ্ন দেখার মানুষদের ভালোবাসি।
কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো ছিল ছেঁড়া, খাতায় জায়গা কম, কলম প্রায় শেষ। এসব নিয়েও সে থামত না। একবার সে নিজের বানানো ছেঁড়া খাতায় এমন সুন্দর রচনা লিখে জমা দিলো, শিক্ষক বললেন, তুই লেখক হবি, অফিসার হবি—আর কষ্ট করবি না।
প্রাথমিক জীবনের এই ধাপটি ছিল তার ভিত গড়ার সময়। যেখানে অনাহার, অপমান, কষ্ট—সব কিছুর মাঝে সে জ্বালিয়ে রেখেছিল আগুন। আর সেই আগুন ছিল শিক্ষা, অধ্যবসায় আর স্বপ্নের আলোয় ভরা।
পর্ব ৩: কিশোর বয়স – ক্ষুধা আর স্বপ্নের দ্বন্দ্ব:
রিয়াজুল যখন পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠলো, তখন তার বয়স মাত্র ১১ বছর। এই সময়েই তার জীবনে এক নতুন পর্ব শুরু হয়—কৈশোরের দ্বন্দ্ব। এখন সে আর শুধু স্কুলের ছোট্ট ছেলে নয়, সংসারের বোঝাও তার কাঁধে পড়তে শুরু করে।
স্কুল থেকে ফিরে আর খেলাধুলা করত না। পুকুরপাড়ে মাছ ধরা নয়, বরং চলে যেত হাটে—কারো কাছ থেকে শাক বিক্রি করার কাজ নেয়, কারো দোকানে ঘণ্টা দুয়েক পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে ২০-৩০ টাকা পেত। সেই টাকায় মায়ের জন্য আটা কিনত, ছোট ভাইয়ের জন্য
গুড়।
বাবা তখন বয়সের ভারে দুর্বল হচ্ছিলেন, কাজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে গিয়েছিল। আর মা? কাঁথা সেলাই করে যা পেতেন, তাতে মাসে ২০০-৩০০ টাকার বেশি হতো না। এমন অবস্থায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া এক রকম অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
কিন্তু রিয়াজ থামেনি।
সে দিনের পর দিন খাওয়া কমিয়ে দিল, দুপুরে অনেক সময় শুধু পানি খেয়ে কাটিয়ে দিত। স্কুলে সহপাঠীরা খাবার আনত, সে তাকিয়ে দেখত—কিন্তু চাইত না। কখনো কেউ ভাগ করে দিতে চাইলে সে বিনয়ের সঙ্গে বলত, তুই খা ভাই, তোরটা শেষ হোক। তার আত্মসম্মান ছিল অভাবের থেকেও বেশি শক্তিশালী।
এই সময়েই তার সামনে আসল এক পরীক্ষা আসে—সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। বই কেনার মতো টাকাও ছিল না। তাই সে পুরোনো বই, কাগজের টুকরো আর টিউশনি থেকে পাওয়া কিছু পয়সা দিয়ে নিজের নোট বানায়। অনেক সময় একটাই খাতা ব্যবহার করত তিনটি বিষয়ের জন্য।
রাত বাড়লে সে কুপির আলোয় পড়ত। মা পাশে চুপচাপ বসে থাকতেন, তার সেলাইয়ের কাজ করতেন। একদিন মা বললেন, তুই কি রাইতে বই না পড়ে একটু ঘুমাবি?
সে হেসে বলল, আমার ঘুম আগে আসবে না মা, আগে অফিসার হতে হবে।
এই কথাটা বলেই সে চোখ নিচু করে আবার অঙ্কের খাতা খুলে বসে।
তার জীবনে তখনো কোনো মোবাইল ফোন ছিল না, ছিল না ইন্টারনেট। বই থেকে শিখত, অভিজ্ঞদের কথা শুনত, আর নিজের ভুল থেকে বারবার শিখত।
স্কুলের সহপাঠীরা অনেকেই তার অবস্থা দেখে দূরে থাকত, কেউ কেউ আবার ভীষণ শ্রদ্ধা করত। একজন সহপাঠী—শাহীন, একদিন তার পাশে বসে বলে, রিয়াজ, তুই তো মানুষ হবি রে, আমি তো হইতে পারমু না।
রিয়াজ তার কাঁধে হাত রেখে বলে, আমরাও হমু, যদি এখন থেইক্কা না ভুইল্লা যাই।
এই সময় সে একটি জিনিস আবিষ্কার করে—শিক্ষাই হচ্ছে দারিদ্র্যকে অতিক্রম করার একমাত্র সেতু।
তাই সে নিজের ভেতর প্রতিজ্ঞা করে, আমি লেখাপড়া ছাড়ব না, যত কষ্টই হোক।
এই কিশোর বয়সে তার সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ছিল—পেটের ক্ষুধা বনাম চোখের স্বপ্ন। পেট বলত, খেয়ে নাও, পড়া বাদ দাও। আর স্বপ্ন বলত, পড়ো, একদিন তুমি খাওয়াবে শত মানুষকে।
এই দ্বন্দ্বের মাঝে রিয়াজ হেরে যায়নি, বরং তার স্বপ্নই জিততে শুরু করেছিল।
শেষ পর্ব: মাধ্যমিক পরীক্ষা – সাহসিকতার প্রথম ফসল
রিয়াজুল যখন দশম শ্রেণিতে পড়ছিল, তখন জীবনের এক কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছিল। এসএসসি পরীক্ষা তার জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। গ্রামের ছোট্ট ঘর থেকে বড় স্বপ্নের দিকে যাত্রা সহজ ছিল না। নতুন বই কিনতে পারত না, তাই পুরনো বই ও নিজের হাতে লেখা নোটেই পড়াশোনা করত। অনেক সময় স্কুল যাতায় পায়ে জুতো ছিল না, ঝড়-বৃষ্টি সত্ত্বেও পায়ে হেঁটে যেত। ক্ষুধার জ্বালা মাঝে মাঝে মনোযোগ ভেঙে দিত, তবে সে হাল ছাড়েনি।
রাতের অন্ধকারে কেরোসিন বাতির আলোয় কাগজের টুকরোতে নিজের নোট দেখে পড়ত। তার মা পাশে বসে কখনো সেলাই করতেন, কখনো চুপচাপ তাকিয়ে থাকতেন। মা-র আশীর্বাদ আর মনের দৃঢ়তা ছিল তার সবচেয়ে বড় সহায়। বাবার অসুস্থতা আর আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও সে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দৃঢ় সংকল্প করেছিল।
পরীক্ষার সময় মানসিক চাপ ছিল ভয়াবহ। অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতার জন্য পড়তে অসুবিধা হতো। কিন্তু তার মনোবল কখনো ভেঙে পড়েনি। শিক্ষকরা তাকে বিশেষ উৎসাহ দিয়ে বলতেন, রিয়াজ, তুই পারবি, আমাদের গর্ব করবি। বন্ধুরা পাশে দাঁড়িয়েছিল, কখনো প্রয়োজনীয় বই ধার দিয়েছিল।
পরীক্ষার দিনগুলো ছিল রিয়াজের জীবনের বড় সংগ্রামের মুহূর্ত। সে জানত, ভালো ফলাফল না করলে তার স্বপ্নের পথ কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের বিনিময়ে সে সফল হলো। ফলাফল এল, রিয়াজ জিপিএ-৫ নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল—একটা ছোট গ্রাম থেকে এসএসসি পরীক্ষায় এতো বড় সাফল্য তার পরিবারের জন্য এক মহা জয় ছিল।
এই সাফল্যের পেছনে ছিল তার নিজের নিষ্ঠা, মায়ের অকুণ্ঠ ত্যাগ, বাবার সংকল্প এবং শিক্ষকদের উৎসাহ। এই জয় ছিল শুধু একটি পরীক্ষার ফলাফল নয়, বরং তার জীবনের সংগ্রামের প্রথম বড় পুরস্কার।
এই গল্প থেকে আমরা যে যে বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারি:
১) সঙ্কটের মাঝে অধ্যবসায়: কঠিন পরিস্থিতি কখনো পড়াশোনা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না, যদি মনে দৃঢ় সংকল্প থাকে।
২) পরিবারের অবদান: পরিবারের সমর্থন ও মায়ের আশীর্বাদ একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অমূল্য শক্তি।
৩) নিজের প্রতি বিশ্বাস: আত্মবিশ্বাস ছাড়া বড় সাফল্য আসেনা।
৪) শিক্ষার গুরুত্ব: শিক্ষা জীবনের পথ প্রদর্শক, যা দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে সাহায্য করে।