Posts

Showing posts from April, 2025

আত্মঅনুসন্ধানের গল্প: নীল জানালার চিঠি

Image
নীল জানালার চিঠি: কলেজের করিডোর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে রুদ্রর মনে হচ্ছিল, চারপাশের সবাই যেন দৌড়াচ্ছে জীবনের দিকে, শুধু সে একাই থেমে আছে কোথাও। প্রতিদিনের ক্লাস, পরীক্ষার তারিখ, নোটিশ বোর্ডের রুটিন – সব কিছুই যেন যান্ত্রিক। অথচ তার দিন কেটে যায় সেই জানালার ধারে দাঁড়িয়ে, যে জানালাটা কলেজ ভবনের পেছনে। জানালাটা বেশ পুরোনো, রঙ প্রায় উঠে গেছে, তবু সেখানে একধরনের শান্তি আছে। জানালার বাইরে এক বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ, বসন্ত এলেই সে গাছ লাল ফুলে জ্বলে ওঠে। রুদ্র ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গল্প-কবিতা পড়ার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই, তবে কলেজে এসে লেখার প্রতি আসক্তি বেড়ে গেছে। বন্ধুদের ভিড়ে সে একটু নিরালায় থাকতে ভালোবাসে, আর সেই নিরালা খুঁজে পায় এই নীল জানালার ধারে। জানালার পাশে একটা টানা বেঞ্চে সে প্রায় প্রতিদিন বসে থাকে, একা। কয়েক মাস আগে, একদিন সেখানে বসে হঠাৎ খেয়াল করল, জানালার সিলে একটা ছোট্ট কাগজ রাখা। কৌতূহলবশত খুলে দেখল সেখানে লেখা— তুমি কি জানো, এই জানালার পাশের কৃষ্ণচূড়াটা কবে প্রথম ফুল ফুটিয়েছিল? আমি জানি। আমি সেদিন এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রুদ্র ভেবেছিল, কেউ হয়তো মজা করে লিখেছে। কিন্...

মজার মজারকাটুন গল্প: বিজ্ঞানী বাবু আর রোবট টুটুল

Image
 মজার মজারকাটুন গল্প: বিজ্ঞানী বাবু আর রোবট টুটুল বিজ্ঞানী বাবু আর রোবট টুটুল এক গ্রামে বাস করতেন এক অদ্ভুত বিজ্ঞানী। গ্রামের সবাই তাকে ডাকত বিজ্ঞানী বাবু বলে। তিনি ছিলেন ছোটখাটো, মাথায় সাদা চুল, চোখে মোটা কাচের চশমা আর সবসময় গায়ে থাকত একটা ছেঁড়া ল্যাবকোট। গ্রামের অন্যরা যখন মাঠে কাজ করত, বিজ্ঞানী বাবু তখন ব্যস্ত থাকতেন তার গবেষণাগারে।  তার গবেষণাগারটি ছিল খুব অদ্ভুত। সেখানে ঢুকলেই দেখা যেত নানা রঙের বোতল, টুকটুকে আলো, গ্যাস বের হওয়া টিউব আর শব্দ করে ঘুরতে থাকা মেশিন। বিজ্ঞানী বাবু সবসময় ভাবতেন কিছু একটা নতুন বানাবেন যা শিশুদের উপকারে আসবে। একদিন হঠাৎ তার মাথায় বুদ্ধি এল, তিনি বানাবেন এমন একটি রোবট যেটা শিশুদের বন্ধু হতে পারবে। নাম দিলেন টুটুল। টুটুল তৈরি করতে বিজ্ঞানী বাবুর সময় লেগে গেল তিন মাস। দিনে ঘুমাতেন, রাতে কাজ করতেন। কখনো কখনো ভুলে যেতেন খেতেও। অবশেষে একদিন টুটুল তৈরি হয়ে গেল। সে ছিল টিনের তৈরি, তার চোখ দুটো ছিল লাল আলোয় ভরা, মুখে সবসময় হাসি, আর পেটে ছিল ছোট্ট একটা স্পিকার যার মাধ্যমে সে কথা বলত। টুটুলের প্রথম কথাটি ছিল, আমি টুটুল, আমি এসেছি মজা করতে বিজ্ঞানী বাবু...

সফলতার গল্প: মেঘনা গ্রুপের কঠিন পরিস্থিতি থেকে সফল হওয়ার গল্প

Image
 সাফল্যের গল্প মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল: এক সফলতার গল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও সুপরিচিত শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (MGI)। এই বিশাল সাম্রাজ্যের পেছনে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম, দূরদর্শিতা ও সাহসিকতায় গড়ে তুলেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত, তিনি হলেন মোস্তফা কামাল। একজন স্বপ্নবাজ উদ্যোক্তা হিসেবে তার যাত্রাপথ, সংগ্রাম, এবং সফলতা আজ অনেক তরুণ উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণার উৎস। শুরুটা ছোট পরিসরে মোস্তফা কামালের জন্ম কুমিল্লা জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে ব্যবসার প্রতি তার আকর্ষণ জন্ম নেয় এবং সত্তরের দশকে তিনি ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা শুরু করেন। মূলত ১৯৮১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এটি ছিল তার প্রথম শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যেখানে তিনি ভোজ্য তেল উৎপাদন শুরু করেন। এই ছোট উদ্যোগই একদিন গড়ে উঠবে বিশাল মেঘনা গ্রুপে—তখন তা কল্পনাও করা যেত না। ধাপে ধাপে সাম্রাজ্য গড়ে ওঠা প্রথমদিকে নানা প্রতিকূলতা ছিল। দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল স্থিতিশীল নয়, শিল্প স্থাপন সহজ ছিল না। তবুও মোস্তফা কামাল দৃঢ় মনোবল এবং অধ্যবসায়ে এগিয়...