রূপকথার অদ্ভুত পাথরের গল্প। এই পাথরটি নিজে নিজেই নড়াচড়া করে এবং তার ক্ষমতা দিয়ে অন্য বস্তুকে টেনে আনে

 এটি একটি অদ্ভুত পাথর। পাথরটি নিজে নিজেই নড়াচড়া করে। পাথরটির অদ্ভুত শক্তি রয়েছে, সেই শক্তি দিয়ে অন্য একটি বস্তুকে টেনে আনে। চলুন এই পাথরের আবিষ্কার সম্পর্কে নিচে থেকে বিস্তারিত জেনে আসি:

প্রাচীনকালে মানুষ পাথরের হাতিয়ার নানা কাজে ব্যবহার করত। এজন্য তারা বিভিন্ন স্থান থেকে এই পাথরগুলি সংগ্রহ করত। এভাবে পাথর সংগ্রহ করতে করতে তারা একটি অদ্ভুত পাথরের সন্ধান পেল। এশিয়া মহাদেশের ম্যাগনেসিয়া নামক স্থানে পাথরটি সন্ধান পেল। দেখা গেল যে অদ্ভুত পাথরটি লোহাকে টেনে আনে।  লোহা গুলি পাথরের গায়ের সাথে আঠার মতো লেগে যাচ্ছে। পাথরটির এরকম অসাধারণ শক্তি দেখে মানুষগুলো অবাক হয়ে গেল। ম্যাগনেসিয়াতে এই পাথরটি পাওয়া যায় বলে পাথরটির নাম দেওয়া হলো ম্যাগনেটাইট। কেউ আবার এই পাথরটিকে চুম্বক পাথর বলে। এভাবেই প্রাচীনকালে চুম্বক পাথর আবিষ্কৃত হয় ।

মানুষগুলো চুম্বকটিকে সুতা দিয়ে বেঁধে লক্ষ্য করল যে পাথরটি শুধু উত্তর এবং দক্ষিণ মুখো হয়ে আছে। বার বার পূর্ব-পশ্চিম দিকে মুখ করার চেষ্টা করেও দেখে দক্ষিণ ও উত্তর দিকে মুখ করে আছে। এরপর কৌতুহলী মানুষগুলো ভাবল যে এই শক্তিমান চুম্বকটিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। তখন তাদের ভাবনায় আসলো যে এই চুম্বক পাথরটিকে নিরূপণের কাজে ভালো ব্যবহার করা যাবে। এই চুম্বক পাথরের একটি দিক সব সময় উত্তর মুখ হয়ে থাকে তাই উত্তর দিকে মুখ করে দাঁড়ালে শরীর ডান হাতের দিক পূর্ব আর বাম হাত দিয়ে পশ্চিম বলে চিনে নেওয়া যায়।

 বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস চুম্বকের এই গুণটিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন কম্পাস বা দিকদর্শন যন্ত্র। রাতের আঁধারে , মেঘলা আকাশে বা সমুদ্রপথে মানুষ পথ ভুলে গেলে দিকনির্দেশন হিসেবে এই কম্পাস ব্যবহৃত হয়। আধুনিক কম্পাসের দিক নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় কাটা। কিন্তু কম্পাসের মূলে রয়েছে চুম্বকের সেই অদ্ভুত গুণ।

এরকম আরো আবিষ্কারের রূপকথার গল্প জানতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন পোস্ট আপডেট হয়। ওয়েবসাইটের লিংক https://www.mahadistoryworld.com/

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url